রাজধানীর গাবতলী বেড়িবাঁধে ইট, বালু ও পাথরের ঘরসহ আশে-পাশের অবৈধ দখল উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। নির্মাণসামগ্রী ব্যবসায়ীদেরকে সাত দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে ডিএনসিসি। এই সময়ের মধ্যে তাদের মালামাল সরিয়ে নিতে হবে, অথবা তারা বৈধ উপায়ে সিটি করপোরেশনকে ভাড়া দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করবেন।
বুধবার (৫ মার্চ) সকালে উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শনে এসে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ সাংবাদিকদের একথা জানান।
মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘এখানে (গাবতলী বেড়িবাঁধ) অবৈধভাবে দখল করে নানা বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। তারা সিটি করপোরেশন থেকে কোনও ধরনের অনুমতি নেয়নি। একটি পয়সাও এখান থেকে সিটি করপোরেশন রাজস্ব পাচ্ছে না। এসব অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে কোনও নোটিশের প্রয়োজন নাই। তারা আমাদের না জানিয়ে দখল করেছে। দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে এই জায়গা উদ্ধার করা হবে।
ব্যবসায়ীদের সাত দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই সময়ের মধ্যে তাদের মালামাল সরিয়ে নিতে হবে, অথবা তারা বৈধ উপায়ে সিটি করপোরেশনকে ভাড়া প্রদান করে ব্যবসা পরিচালনা করবেন। সংশ্লিষ্ট বিভাগ সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারণ করবে। কোনও ধরনের অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ দখলদারিত্ব আর চলবে না।
গাবতলী (বেড়িবাঁধ) এলাকায় দেড়শো একর জমি উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান চলতে থাকবে জানিয়ে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, সিটি করপোরেশনের সম্পত্তিগুলো দখলমুক্ত করা আমাদের দায়িত্ব। এসব জায়গা দখলমুক্ত করে মাঠ ও পার্ক করা হবে। খালি জায়গা, মাঠ, পার্ক এগুলো জনগণের সম্পত্তি। ঢাকা শহরের মানুষ এসব মাঠে ও পার্কে যাবে, খালি জায়গায় ঘোরাফেরা করবে, এটা জনগণের অধিকার।
সকালে উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা খানম এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহীদুল ইসলাম। এসময় প্রায় অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয় বলে জানানো হয় ডিএনসিসি থেকে।