নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করার এক দফা দাবিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করছেন সম্মিলিত নন এমপিও ঐক্য পরিষদের শিক্ষকরা।
রবিবার (২ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সম্মিলিত নন এমপিও ঐক্য পরিষদ কর্তৃক ‘নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান’ কর্মসূচি পালন করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সংগঠনের ৮ সদস্য যমুনার সামনে উপস্থিত হয় স্মারকলিপি প্রদানের জন্য।
স্মারকলিপিতে সংগঠনের প্রধান সমন্বায়ক অধ্যক্ষ মো. সেলিম মিঞা বলেন, নন এমপিও (বেতন বিহীন) প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘ প্রায় দুই দশক বা তারও বেশি সময় বেতনহীন অবস্থায় থাকায় মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এই সব বেতনহীন প্রতিষ্ঠান বেতনভুক্ত করা রাষ্ট্রের অন্যতম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। বর্তমান সরকারকে সমর্থন করে ১ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংহতি জানানো হয়েছে। গত ৬ মাসে একদিনের জন্যও কোনও মাঠের কর্মসূচি দিয়ে সরকারকে বিব্রত করা হয়নি।
তিনি বলেন, গত ২৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে দেশের সব জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে আপনার (প্রধান উপদেষ্টা) বরাবরে দেশের নন এমপিও শিক্ষকরা স্মারকলিপি প্রদান করলে আপনার দফতর হতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে একটি চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এরপর একই দাবিতে ফেব্রুয়ারি সব জেলা সদরে মানববন্ধন আয়োজন করা হয় এবং আবারও সব জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে আপনার দফতরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমরা নিয়মিত আলোচনা করেছি তবু কোনও অগ্রগতি দৃশ্যমান হয়নি।
মো. সেলিম মিঞা বলেন, সব প্রচেষ্টার পরেও কোনও ফলাফল না পাওয়ায় আমরা সারা দেশের নন এমপিও শিক্ষকরা ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে এমপিও'র দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শান্তিপূর্ণভাবে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করি। কিন্তু তবুও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনও সাড়া পাইনি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এক দফা দাবি, দেশের নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করতে হবে। বিগত সময়ে সবচেয়ে বেশি অবহেলার শিকার নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত করা এখন সময়ের শ্রেষ্ঠতম দাবি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।