X
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
৭ বৈশাখ ১৪৩২

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি ৩ মার্চ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট 
০২ মার্চ ২০২৫, ১২:৩১আপডেট : ০২ মার্চ ২০২৫, ১২:৩১

ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিকের শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ৩ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

রবিবার (২ মার্চ) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। অপরপক্ষে ছিলেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল, মুনতাসির আহমেদ।

এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেন। রায়ের দিন আবেদনকারীদের আইনজীবী কামরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬ হাজার ৫৩১ জনের তৃতীয় পর্যায়ের যে নিয়োগ ছিল, তা ২৩ জুলাইয়ের নোটিফিকেশনের পরিপন্থি। এ কারণে যারা বঞ্চিত হয়েছেন তাদের মধ্য থেকে ১৫৩ জন রিট করেছিলেন। হাইকোর্ট বিভাগ সেই রিট পিটিশনে জারি করা রুল শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করেছেন। রায়ে উত্তীর্ণদের যে ফল ঘোষণা করেছে তা ২৩ জুলাইয়ের পরিপন্থি এবং আপিল বিভাগের ২১ জুলাইয়ের রায়ের পরিপন্থি বলেছেন।

২০২৩ সালের ১৪ জুন ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নির্বাচন করে গত ৩১ অক্টোবর নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ৩১ অক্টোবরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রার্থীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুসরণ করে উপজেলাভিত্তিক মেধাক্রম অনুযায়ী নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে প্রার্থী নির্বাচন করে তালিকা প্রণয়ন করা হয়। ১১ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়োগ আদেশ সংবলিত নির্দেশনা জারি করে। এ সংক্রান্ত আদেশ অনুসারে নির্বাচিত প্রার্থীদের অনুকূলে ২০ নভেম্বর নিয়োগপত্র ইস্যু করার কথা ছিল। ওই নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা অনুসরণের অভিযোগ তুলে ফলাফল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগ বঞ্চিতরা হাইকোর্টে রিট করেন।  

রুলে ৩১ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশের বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগ বিষয়ে ১১ নভেম্বরের নির্দেশনা সংবলিত স্মারক কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহাপরিচালকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়। এ রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে নিয়োগ প্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। ফলে ৬ হাজার ৫৩১ জন উত্তীর্ণ প্রার্থীর নিয়োগ আটকে যায়। গত ৬ ফেব্রুয়ারি সেই রুলের ওপর রায় দেওয়া হয়।

/বিআই/এমকেএইচ/
সম্পর্কিত
আপিল বিভাগের নতুন দুই বিচারপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত
‘নারী বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি ন্যায়বিচারের অভিগম্যতা নিশ্চিতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ’
আদালত থেকে হাতকড়াসহ পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
সর্বশেষ খবর
ছয় দফা দাবিতে আগারগাঁওয়ে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মহাসমাবেশ
ছয় দফা দাবিতে আগারগাঁওয়ে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মহাসমাবেশ
আপিল বিভাগের নতুন দুই বিচারপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত
আপিল বিভাগের নতুন দুই বিচারপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত
ফয়জুল করিমকে মেয়র ঘোষণার দাবিতে আদালতের সামনে অবস্থান
ফয়জুল করিমকে মেয়র ঘোষণার দাবিতে আদালতের সামনে অবস্থান
‘নারী বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি ন্যায়বিচারের অভিগম্যতা নিশ্চিতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ’
‘নারী বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি ন্যায়বিচারের অভিগম্যতা নিশ্চিতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ’
সর্বাধিক পঠিত
গাজীপুরে সেই দুই শিশুকে হত্যা করেছেন মা: পুলিশ
গাজীপুরে সেই দুই শিশুকে হত্যা করেছেন মা: পুলিশ
আ.লীগের ঝটিকা মিছিল, বিপাকে পুলিশ
আ.লীগের ঝটিকা মিছিল, বিপাকে পুলিশ
রাবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ৩ ভুল
রাবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ৩ ভুল
হিন্দু নেতা ভবেশ চন্দ্র রায় হত্যা: নিন্দা জানালো ভারত
হিন্দু নেতা ভবেশ চন্দ্র রায় হত্যা: নিন্দা জানালো ভারত
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল নিয়ে ডিএমপির বার্তা
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল নিয়ে ডিএমপির বার্তা