স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর ভলান্টারি স্টেরিলাইজেশনের (বিএভিএস) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আট মাসের বকেয়া বেতন-ভাতাদি পরিশোধসহ ৪ দফা দাবি জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচিতে তারা এই দাবি জানিয়েছেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিএভিএস সরকারের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সংস্থাটি ৩৪টি শাখার মাধ্যমে এবং বর্তমানে ১৮টি শাখার মাধ্যমে সারা দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে পরিবার পরিকল্পনা এবং মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা-সহ নানাবিধ স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করে আসছে।
তারা বলেন, অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, বর্তমান প্রশাসক মাজহারুল ইসলামের স্বেচ্ছাচারিতা এবং দায়িত্বহীনতার কারণে সংস্থার প্রায় পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী মানবেতর জীবনযাপন করছেন। প্রশাসকের এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গত ৪৫ দিন ধরে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন। বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ ও অন্যান্য ন্যায্য দাবি-দাওয়া পূরণের প্রতিশ্রুতি ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে প্রশাসককে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তিনি কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।
তারা আরও বলেন, চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী সময় হতে প্রশাসক বিএভিএস'র প্রধান কার্যালয়ে না এসে অজ্ঞাত স্থান হতে অফিসিয়াল নথি ও স্মারক ব্যবহার না করে হোয়াটসঅ্যাপ'র মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার হয়রানিমূলক প্রশাসনিক পত্র প্রেরণ করছেন। ফলে দেশের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সেবায় নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে অস্থিরতা বিরাজ করছে এবং জীবন ও জীবিকা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এসময় তারা তাদের চার দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো— আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর বিএভিএস এর সাময়িক বরখাস্তকৃত উপপরিচালক (অর্থ) মো. নজরুল ইসলামকে স্থায়ী বরখাস্ত করতে হবে; আওয়ামী ফ্যাসিবাদের অন্যতম সহযোগী বিএভিএস এর বর্তমান প্রশাসক মাজহারুল ইসলামকে (উপসচিব) প্রত্যাহার পূর্বক একজন যুগ্মসচিবকে প্রশাসক হিসাবে পদায়ন করতে হবে; ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর থেকে সব প্রকার হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড প্রত্যাহার করাসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আট মাসের বকেয়া বেতন-ভাতাদি পরিশোধ করতে হবে।
এসময় মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচিতে প্রায় শতাধিক কমকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।