প্রকৃতিতে বইছে ফাগুনের হাওয়া। কোকিলের কণ্ঠে বসন্তের আগমনী গান। শীতের জীর্ণতা সরিয়ে ফুলে ফুলে সেজে উঠেছে প্রকৃতি। আর বসন্তের প্রথম দিন (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস ঘিরে কদর বেড়েছে গোলাপ, রজনীগন্ধাসহ অন্যান্য ফুলের। তাই রাজধানীর খুচরা ফুলের বাজারগুলো এখন স্বাভাবিকভাবেই বেশ জমজমাট। তবে অনেক ক্রেতা বলছেন, এব বছর আন্দোলনের কারণে ক্রেতা কম।
শাহবাগের ফুল ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সবার দৃষ্টি এখন বসন্ত এবং ভালোবাসা দিবসের দিকে। এ উপলক্ষে ভালো বিক্রির আশা করছি।’
বিভিন্ন রঙের গোলাপ ফুলের পাশাপাশি গাধা ফুলের চাহিদা বরাবরই বেশি। সেই সঙ্গে নানা বিদেশি ফুলেরও চাহিদা রয়েছে। শাহবাগের একাধিক ফুল বিক্রেতা জানান, বিভিন্ন দিবসে ফুলের চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। যে কারণে দামও একটু বেশি থাকে। তবে এই দাম আমরা ইচ্ছা করে বাড়াই না। চাষি থেকে শুরু করে পাইকারি বিক্রেতা সবাই বেশি দাম রাখে। এর করণে আমাদেরও বাধ্য হয়ে বাড়তি দামে বিক্রি করতে হয়।
বৃষ্টি ভিআইপি ফুল ঘরের এক বিক্রয়কর্মী বলেন, অনেকে ফুল কিনতে আসে না, শুধু শুধু ছবি তুলতে আসে। এতে আমাদের বিক্রিতে সমস্যা সৃষ্টি হয়। কেউ আমাদের দোকানের সামনে ছবি তুলতে এলে আমরা বাধা দেই। কেউ ছবি তুলতে থাকলে আমাদের ব্যবসায় সমস্যা হয়।
তবে ভিন্ন কথাও বলছেন একাধিক ফুল বিক্রেতা। অনেকে বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার ক্রেতা কম। চারদিকে আন্দোলন চলাতে অনেকে বাসা থেকে বের হয় না। এ কারণে বেচাকেনা কম। তবে বাজারে এবার ফুলের সংকট নেই। যথেষ্ট পরিমাণ ফুল আছে।