রাজধানীর হাতিরঝিল লেক থেকে এক স্কুলছাত্রীর অর্ধ গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত দুই জনকে গ্রেফতারের পর পুলিশ জানায়, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর ওই কিশোরীকে হত্যা করা হয়। পরে বস্তাবন্দি করে মরদেহ ফেলা হয় হাতিরঝিল লেকে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান।
তিনি বলেন, ‘গত ১৬ জানুয়ারি ওই কিশোরী কেনাকাটার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। ১৯ জানুয়ারি রাজধানীর দক্ষিণখান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তার বাবা। ২৭ জানুয়ারি তিনি একটি মামলা করেন।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে দক্ষিণখানের একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়তো।’
দক্ষিণখান এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুই জনকে গ্রেফতারের কথা জানিয়ে ডিসি রওনক জাহান বলেন, ‘তারা হলো, রবিন ও রাব্বি মৃধা। রবিন পেশায় গাড়িচালক। রাব্বির নির্দিষ্ট পেশা নেই। গ্রেফতার দুই যুবক পুলিশকে জানিয়েছে, ভুক্তভোগী কিশোরীর সঙ্গে অনলাইনের পরিচয় সূত্রে মহাখালীর একটি ফ্ল্যাটে ডেকে আনা হয়। এরপর রবিনসহ পাঁচ জন সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর কিশোরীকে হত্যা করে।’
মামলার তদন্তে নেমে কিশোরীর মোবাইল ফোন নম্বরের সূত্র ধরে ৩০ জানুয়ারি রবিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাব্বিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পাঠানো হয় তাদের। দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন আদালত। এরপর রবিন ও রাব্বিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
গ্রেফতার ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে ডিসি জানান, দুই যুবক স্বীকার করেছে, পাঁচ জন মিলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এতে তার মৃত্যু হলে মরদেহ হাতিরঝিল লেকে ফেলা হয়। আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার হাতিরঝিল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, হত্যার দায় স্বীকার করে আজ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে রবিন ও রাব্বি। তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।