সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, ১৯৭২ সালে তৈরি করা সংবিধানের মধ্য দিয়েই দেশে ব্যক্তিকেন্দ্রিক স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়।
সাংবিধানের একাধিক সংশোধনী আনার পরও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে ন্যস্ত করে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা ব্যক্তিকেন্দ্রিক করা হয়।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইস্কাটনের আঞ্চলিক লোকপ্রশাসন কেন্দ্রের মিলনায়তনে ‘সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড গুড গভর্নেন্স আয়োজিত সুশাসন ও গণতন্ত্র’ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আলী রীয়াজ বলেন, গত ১৬ বছর ধরেই কেবল ব্যক্তিকেন্দ্রিক স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ১৯৭০ সালের পরে শেখ মুজিবুর রহমানের স্বৈরতন্ত্র, শেখ হাসিনার মধ্য দিয়ে আবার ফিরে আসে।
তিনি বলেন, শুধু ব্যক্তির অবসান নয়, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে কাঠামোগত পরিবর্তনের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, দেশের পরিবর্তনের যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে- সেটি বাস্তবায়নে সব রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার এটাই পথ।
তিনি আরও বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিষ্ঠিত স্বৈরতন্ত্র তার মেয়ে শেখ হাসিনার মাধ্যমে ফিরে আসে।
মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমান। সাংবাদিক ও মিডিয়া সাপোর্টের আহ্বায়ক জিমি আমির, মানবাধিকারকর্মী আবু মুহাম্মদ নিপার, সিডিজিজির পরিচালক সোয়ালেহীন করিম চৌধুরী। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন গবেষক ও রাষ্ট্রচিন্তক ড. মো. রাকিবুল ইসলাম।