রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রিং রোড এলাকার জাপান গার্ডেন সিটি হাউজিংয়ে ১০টি কুকুর ও একটি বিড়ালকে বিষপ্রয়োগে হত্যার ঘটনায় হাউজিংটির সভাপতি আব্দুস সালামসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অন্য আসামিরা হলেন– জাপান সিটি গার্ডেনের সেক্রেটারি শাহ নুর, সহ-সভাপতি ইয়াহইয়া, সদস্য আরিফ, শাহ আলম ও কাজল।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে চারটি প্রাণী সংগঠনের পক্ষে স্থপতি রাকিবুল হক এমিল এ মামলা করেন। বিচারক বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী জাকির হোসেন এ তথ্য জানান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, জাপান সিটি গার্ডেনের সভাপতি ও সেক্রেটারির পরিকল্পনায় অন্য আসামিরা গার্ডেনের কুকুর ও বিড়ালগুলো মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেন। এরই অংশ হিসেবে গত বছরের ২২ নভেম্বর রাত ৯টায় বিড়াল ও কুকুরদের খাবারে বিষ মিশিয়ে দেন। বিষের প্রভাবে বিড়াল ও কুকুর এদিক সেদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। এক পর্যায়ে তাদের মুখ দিয়ে রক্ত বমি বের হয়। এরপর যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে ১০টি কুকুর ও একটি বিড়াল মারা যায়।
মামলার প্রসঙ্গে বাদী রাকিবুল হক এমিল বলেন, ‘কুকুরগুলো বিষ প্রয়োগে মারা হয়েছে। একটি অপরাধ সংঘঠিত হয়েছে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই। যেহেতু একজন ভেটেরিনারি কর্মকর্তা মৃতদেহগুলোর সুরতহাল, ময়নাতদন্ত এবং সিআইডি ফরেনসিক করেছেন, সেহেতু পিবিআইর মাধ্যমে অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত হয়ে সত্যিকার অপরাধী বের হয়ে আসুক এটাই আমাদের চাওয়া।’
আইনজীবী জাকির হোসেন বলেন, ‘গত বছরে ২২ নভেম্বর জাপান গার্ডেন সিটি হাউজিংয়ে ১০টি কুকুর ও একটি বিড়ালকে হত্যার ঘটনায় আজ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। আজ মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আশা করি, প্রাণী হত্যার সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে ভবিষ্যতে এ ধরনের হত্যা বন্ধ হবে।’
আরও পড়ুন...
জাপান গার্ডেন সিটিতে প্রাণী হত্যা, আইনি পদক্ষেপের উদ্যোগ