সব বৈষম্য অপসারণ করে ‘নির্মাণ বিধিমালা ২০০৮’ অনুযায়ী সংশোধিত বিধিমালা প্রণয়নসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে ঢাকা শহরের ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিক সমিতি।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে ঢাকা শহরের ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিক সমিতির প্রধান আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. দেওয়ান এম এ সাজ্জাদ বলেন, ড্যাপের (২০২২-২০৩৫) কারণে ঢাকা শহরের ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকরা ব্যাপক ক্ষতি ও বৈষম্যের শিকার। ড্যাপের মূল উদ্দেশ্য ভূমির শ্রেণি বিন্যাস, সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ করা। কিন্তু এসব উদ্দেশ্যকে পাশ কাটিয়ে নির্মাণ বিধিমালার বিষয়টিকে প্রাধান্য না দিয়ে বিগত সরকারের কতিপয় সুবিধাবাদী লোক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ড্যাপ ২০২২-২০৩৫ প্রণয়ন করে নগরবাসীর বাসস্থানের অধিকারকে হরণ করেছে ও বৈষম্য সৃষ্টি করেছে।
তারা বলেন, ২০০৮ সালে যে পরিমাণ জমিতে ১০ তলা ভবনসহ যতগুলো ফ্ল্যাট নির্মাণের অনুমতি পাওয়া যেত, বর্তমানে একই পরিমাণ জমিতে ৫ তলা ভবন নির্মাণের অনুমতি ও ফ্ল্যাট সংখ্যা কমিয়ে দিচ্ছে— যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত ড্যাপে ঢাকা শহরের ২০ শতাংশ এলাকায় উচ্চ ভবন নির্মাণ করা গেলেও অবশিষ্ট ৮০ শতাংশ এলাকায় তার অর্ধেক উচ্চতা ও আয়তনের ভবন নির্মাণ করা যাচ্ছে। এ ফলে ঢাকা শহরের ৮০ শতাংশ মানুষ বিগত দুই বছর যাবত কোনও নকশা অনুমোদন করতে পারছে না। এমতাবস্থায় তারাভীষণভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
এসময় তাদের ৫ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। তাদের দাবিগুলো হলো:
ঢাকা শহরের সব এলাকায় ২০০৮ সালের বিধিমালা অনুযায়ী ভবন নির্মাণের অনুমতি প্রদান ও রাস্তা অনুযায়ী যেখানে যত তলা ভবন পাওয়া যেত, সেখানে তত তলা অনুমোদন দিতে হবে; সকল বৈষম্য অপসারণ করে নির্মাণ বিধিমালা ২০০৮ অনুযায়ী সংশোধিত বিধিমালা প্রণয়ন করা; ঢাকা শহরের জলাশয়, খাল-বিল, নদী-নালা, রাস্তাঘাট, খেলার মাঠ, পার্ক, শিল্প প্রতিষ্ঠান, কৃষি, আবাসিক স্থান ইত্যাদি সংরক্ষণের জন্য ড্যাপ সংশোধন করা; ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা মুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা; এবং রাজউক থেকে ভবন নির্মাণ সহজীকরণসহ যাবতীয় হয়রানিমূলক অনুমোদন বন্ধ করা।