X
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
৬ বৈশাখ ১৪৩২

ত্রিপুরা পরিবারের বাড়িঘর পোড়ানোর ঘটনায় উদ্বেগ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট 
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৪৩আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৪৩

বান্দরবানের লামা উপজেলায় খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের একটি পাড়ায় দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে ১৭টি বসতঘর ভস্মীভূত হয়েছে। এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের দুই যুগ্ম সমন্বয়কারী ও মানবাধিকার কর্মী জাকির হোসেন এবং অধ্যাপক ড. খায়রুল ইসলাম চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের সদস্য মুর্শিদা আক্তার ডেইজী এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, তংগাঝিরি পাড়া গ্রামে ১৯ ত্রিপুরা পরিবারের বাস। গ্রামবাসীরা খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী এবং নিজেদের গ্রামে গির্জা না থাকায় বড়দিনের আগে পাশের গ্রামে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে যান। সেই সুযোগে বড় দিনের দিনই একদল দুর্বৃত্ত রাত ১টার দিকে অগ্নিসংযোগ করে বাড়িগুলো পুড়িয়ে দেয়। এতে ১৯ পরিবারের মধ্যে ১৭ পরিবারের ঘর-বাড়ি পুড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে।

দুই যুগ্ম সমন্বয়কারী উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, আমরা জানতে পেরেছি— বিগত চার-পাঁচ বছর আগে একদল লোক নিজেদের ‘এসপির লোক’ পরিচয় দিয়ে জোরপূর্বক পাড়াটি উচ্ছেদ করে বাগান করা হয়। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর দখলদাররাও পাড়া ছেড়ে চলে যান এবং ১৯ পরিবার ত্রিপুরা পুনরায় পাড়ায় এসে ঘর তৈরি করে বসবাস করতে শুরু করে। পাড়াটি পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের স্ত্রীর নামে ইজারা দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।

এ বিষয়ে তারা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম সমস্যা— ভূমি সমস্যা। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মাধ্যমে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের মাধ্যমে এটি সমাধান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পার্বত্য চুক্তি যথাযথ বাস্তবায়ন না হওয়ায় এভাবে হরহামেশাই আদিবাসীদের ভূমি দখল করে নিয়ে লুঠতরাজ চালিয়ে আসছে দুর্বৃত্ত বাহিনীরা। ফলে নানাভাবে নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছেন আদিবাসীরা। পাহাড়ের আদিবাসীদের ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি ও এ অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য অনতিবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানাচ্ছি। 

দুই যুগ্ম সমন্বয়কারী এ ঘটনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ত্রিপুরা আদিবাসীদের যথাযথ ও দ্রুত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং গ্রামবাসীর মনে ভয় ও শঙ্কা দূর করার জন্য এলাকায় দ্রুত নিরাপত্তা জোরদার করা জরুরি। এছাড়া এ ঘটনায় যথাযথ তদন্ত করে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

/ইএইচএস/এমকেএইচ/
সম্পর্কিত
খামারে আগুন, পুড়ে মারা গেছে ৫০ হাজার মুরগি
খাগড়াছড়িতে অপহৃত ৫ শিক্ষার্থীসহ ছয় জনকে উদ্ধারে অভিযান চলছে
পার্বত্য উপদেষ্টার সঙ্গে ইইউর রাষ্ট্রদূতসহ প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
সর্বশেষ খবর
টিভিতে আজকের খেলা (১৯ এপ্রিল, ২০২৫)
টিভিতে আজকের খেলা (১৯ এপ্রিল, ২০২৫)
খামারে আগুন, পুড়ে মারা গেছে ৫০ হাজার মুরগি
খামারে আগুন, পুড়ে মারা গেছে ৫০ হাজার মুরগি
সুন্দরবনের দস্যু করিম শরিফ বাহিনীর দুই সহযোগী অস্ত্রসহ আটক
সুন্দরবনের দস্যু করিম শরিফ বাহিনীর দুই সহযোগী অস্ত্রসহ আটক
কুষ্টিয়া সীমান্তে ফেনসিডিলসহ ৩ ভারতীয় মাদক কারবারি আটক
কুষ্টিয়া সীমান্তে ফেনসিডিলসহ ৩ ভারতীয় মাদক কারবারি আটক
সর্বাধিক পঠিত
পরীক্ষা ভালো হয়নি, বাড়ি ফেরার পর ঘরে এসএসসি পরীক্ষার্থীর লাশ
পরীক্ষা ভালো হয়নি, বাড়ি ফেরার পর ঘরে এসএসসি পরীক্ষার্থীর লাশ
সন্তান বিক্রি করে জুয়েলারি ও মোবাইল কিনেছেন মা
সন্তান বিক্রি করে জুয়েলারি ও মোবাইল কিনেছেন মা
‘বাবা বাইরে মা ঘুমিয়ে’, দুই শিশুসন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করলো দুর্বৃত্তরা
‘বাবা বাইরে মা ঘুমিয়ে’, দুই শিশুসন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করলো দুর্বৃত্তরা
রাজধানীতে আবার আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
রাজধানীতে আবার আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় পুরস্কারের সম্ভাব্য তালিকায় যারা
জাতীয় পুরস্কারের সম্ভাব্য তালিকায় যারা