ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে বহিরাগত যানবাহন প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করেছে প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের দাবি আমলে নিয়ে ক্যাম্পাসে শুক্র-শনিবার বহিরাগত গাড়ি প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই কার্যক্রম বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ পথগুলোতে বসানো হয়েছে ‘সিকিউরিটি অ্যান্ড সার্ভিলেন্স বক্স’। দায়িত্বে থাকা প্রক্টরিয়াল টিম বহিরাগত যানবাহন প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বস্তি বিরাজ করলেও ভোগান্তির কথা বলছেন বহিরাগতরা।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিভিন্ন প্রবেশপথ ঘুরে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে কোনও বহিরাগত যানবাহন ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। বিকাল পর্যন্ত তেমন যানজট লক্ষ্য করা না গেলেও সন্ধ্যার দিকে আশপাশের এলাকায় কিছুটা যানজট ছিল। শুধু জরুরি সেবা নিতে আসা ব্যক্তিদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়তে আমরা এই কাজ করছি। প্রাথমিকভাবে অনেকের কষ্ট হবে, এ জন্য আমরা দুঃখিত। জরুরি কাজে আগত কাউকে যাচাই-বাছাই শেষে ভেতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে। কোনও কারণ ছাড়াই যারা আসবেন তাদের প্রবেশ নিষেধ।’
শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা বাস্তব রূপ পাওয়ায় এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। অনেকেই প্রশাসনের এমন কাজকে সময়ের ‘সেরা উদ্যোগ’ বলে মনে করছেন।
ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী সারোয়ার জাহান বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ছুটির দিনগুলোতে খুব খারাপ অবস্থা হয়। বহিরাগতদের মাঝে নিজেকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তার ওপরে গাড়ির চাপ। যেকোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমাদের দাবি আমলে নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ।’
নীলক্ষেত এলাকায় কথা হয় শাহজালাল শাহিন নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। তিনি জানান, তিনি একজন বেসরকারি চাকরিজীবী। ছুটির দিনে পরিবারসহ ঘুরতে বের হয়েছেন ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলে। অনুমতি না থাকায় তিনি গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করতে পারছেন না। আগে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের বিষয়ে না জানা থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন। এমন আরও অনেকেই ভোগান্তির কথা জানান।