হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে সহপাঠীর মৃত্যুর অভিযোগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কবি নজরুল এবং সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সংবাদমাধ্যম দৈনিক কালবেলার প্রতিবেদক আমান নবী ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ভিডিওগ্রাফার স্বাধীন হাসানসহ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর প্রায় ৩৫টি কলেজের শিক্ষার্থীরা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনের ফটক অবরোধ ও ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে কবি নজরুল কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয় কিছু শিক্ষার্থী। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের লিফটের সামনে অতর্কিতভাবে তারা আমান নবীর ওপর লাঠি ও লোহার পাইপ দিয়ে আঘাত করে এবং মোবাইল ও মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে কিছু শিক্ষার্থী তাকে উদ্ধার করে মোবাইল-মাইক্রোফোন ফিরিয়ে দিয়ে তড়িঘড়ি করে গেটের বাইরে বের করে দেন।
এ সময় উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। একই সময় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ভিডিওগ্রাফার স্বাধীন হাসানের মাথায় আঘাত করেন কিছু উত্তেজিত শিক্ষার্থী। দৈনিক ইত্তেফাকের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার জাকির হোসেনের আইফোন ১২ প্রো ও মাইক্রোফোন ভেঙে ফেলা হয়। ফোন কেড়ে নেওয়া হয় দৈনিক আমাদের বার্তার প্রতিনিধি আসাদুল ইসলাম ও বাংলাদেশের খবরের জবি প্রতিনিধি জান্নাতুন নাইমের। পরবর্তীতে ঘটনার ফুটেজ ডিলিট করে ফোন ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
সাংবাদিকদের ওপর এমন আক্রমণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন উপস্থিত সিনিয়র সাংবাদিক ও সাংবাদিক নেতারা।
এদিন রাজধানীর ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা গাফিলতিতে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিৎ হালদারের (১৮) মৃত্যুর অভিযোগ তুলে রাজধানীর প্রায় ১০টি কলেজের শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। এসময় তারা হাসপাতালের মূল ফটকের নামফলক খুলে ফেলে, ভাস্কর্য গুড়িয়ে দেয় এবং হাসপাতালের বাইরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। একপর্যায়ে কবি নজরুল কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় অন্য শিক্ষার্থীরাও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর কঠোর অবস্থানে পরিস্থিতি শান্ত হয়।