শর্তহীনভাবে নিয়োগ দেওয়াসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নিয়োগ বঞ্চিত শিক্ষক ফোরামের সদস্যরা। বুধবার (১৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক অবস্থান কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানান তারা।
এনটিআরসিএ নিবন্ধিত নিয়োগ বঞ্চিত শিক্ষক ফোরাম আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, বয়স ও মেয়াদোত্তীর্ণদের একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগের জন্য এনটিআরসিএ’র সুপারিশ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতামত দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন রায়, রায়ের কপি এসবের মধ্যে দিয়ে সময়ক্ষেপণ হচ্ছে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর শিক্ষা উপদেষ্টা বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন। এরপর গত ২০ অক্টোবর আইন উপদেষ্টা দুই-তিন দিনের মধ্যে আমাদের বিষয়ে পজিটিভ মতামত দেবেন বলে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও নিয়োগের কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় ও এনটিআরসিএ গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছি। যেখানে মূল বিষয় ‘বয়স ও মেয়াদোত্তীর্ণ’ লেখা হয়েছে, সেখানে আইনের মতামত গ্রহণ হাস্যকর বটে।
তারা বলেন, যখন আইনগতভাবে যোগ্য ছিলাম তখন তারা আমাদের নিয়োগ দেয়নি। আর এখন ‘নিয়োগযোগ্য নয়’ বলে অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে, বিভিন্ন অজুহাতে তারা প্রহসন করে চলেছে। গত তিন বছর ধরে লাগাতার আন্দোলন মধ্যে দিয়ে আমরা নিয়োগের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু কোনোভাবেই নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না।
তারা আরও বলেন, এনটিআরসিএ ৬০ হাজার জাল সনদ দিয়েছে, এসব সনদধারীদেরও এমপিও করেছে। বিভিন্ন সময়ে জাল সনদ চিহ্নিত হলেও তাদের চাকরিচ্যুত করে আইনের আওতায় আনা হয়নি।
এসময় তারা তাদের পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন। তাদের দাবিগুলো হলো––
১. ১ থেকে ১২ তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও নিয়োগ বঞ্চিত সনদধারীরা যে বয়সে নিবন্ধন সনদ অর্জন করেছেন, সেই বয়স অনুযায়ী শর্তহীনভাবে সরাসরি নিয়োগ দিতে হবে।
২. অবিলম্বে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।
৩. ১ থেকে ১২ নিবন্ধনে উত্তীর্ণদের জন্য মেরিট অনুযায়ী পৃথক ডাটাবেজ তৈরি ও সংরক্ষণ করতে হবে।
৪. এই ১২টি ব্যাচের নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত অন্যদের পরীক্ষা নেওয়া ও পরবর্তী ব্যাচের নিয়োগ বন্ধ রাখতে হবে।
৫. ৬০ হাজার জাল সনদধারীদের চিহ্নিত করে চাকরিচ্যুত করা ও তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
এসময় অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি নীলিমা চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসী, দফতর সম্পাদক দুলাল মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন দাস, মারুফ মহসিন, ছামিউল আলম, নূরুদ্দীন, প্রসেনজিৎ বারোই, ইব্রাহিম খলিল, কার্যনির্বাহী সদস্য আজিম উদ্দিন, শাহানার পারভীন জনি প্রমুখ।