দক্ষ জনশক্তি তৈরি এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক সুযোগের জন্য প্রস্তুত করতে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক ও ইউএনডিপি বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করবে।
মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) এমপ্লয়বিলিটি মাস্টারক্লাস এবং স্কলারশিপ প্রদান অনুষ্ঠানে অংশীজনরা এ কথা জানান। ইউএনডিপি ও ইউএপি এবং গ্রামীণফোন লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে ‘ফিউচারনেশন’ শীর্ষক দক্ষতা উন্নয়ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ২০০ ছাত্রকে ব্রিটিশ কাউন্সিল স্কলারশিপ এবং ৮০ জনকে ফ্রন্টিয়ার টেক স্কলারশিপ দেওয়া হয়।
ইউএনডিপি ফিউচারনেশন প্রোগ্রামের ন্যাশনাল প্রজেক্ট ম্যানেজার দেবাশীষ রায় বলেন, এখন সময় এমন যে আমাদের ধারাবাহিক শিক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। বড় বড় আইটি জায়েন্ট কোম্পানি এখন আর সার্টিফিকেট দেখতে চায় না। তারা জানতে চায় আপনি কতটুকু জানেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থপতি মাহবুবা হক বলেন, শুধু দক্ষতা অর্জন করলেই চলবে না, শিক্ষার্থীদের মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন মানুষ হতে হবে। এ সময় দক্ষতা উন্নয়ন করে শিক্ষার্থীদের স্বনির্ভর হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান বলেন, উচ্চ শিক্ষার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো দক্ষ ও কর্মসংস্থানযোগ্য মানবসম্পদ তৈরি করে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখা। ইউএপি’র শিক্ষার্থীরা নিজেদের প্রমাণ করে চলেছে, যার প্রতিফলন লক্ষ্যণীয়।
মাস্টারক্লাসটি পরিচালনা করেন গ্রামীণফোনের কমিউনিকেশনের প্রধান শরফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। যেখানে প্রায় ২৮০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন।
অনুষ্ঠানের অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ইউএপি ট্রাস্টিজের সদস্য আলমজের ফরজাদ আহমেদ, অফিস অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক স্থপতি জিয়াউল ইসলাম, ডিনরা, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।