সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করে আজকের মধ্যেই প্রজ্ঞাপন জারি না করলে সহিংস আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
সোমবার (২১ অক্টোবর) বেলা ১১টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করে আজকেই প্রজ্ঞাপন জারি করার দাবিতে ‘শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি’ শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা।
এ সময় আন্দোলনকারীরা জানান, আজই প্রজ্ঞাপন জারি না করলে তারা অহিংস আন্দোলনকে সহিংস আন্দোলনে রূপ দেবেন। উপদেষ্টারা জানাচ্ছেন এখনও আলোচনা চলছে, তাহলে কেন সংস্কার কমিশন গঠন করা হলো? তারা কেউ আন্দোলনকারী না বলে দাবি করে বলেন, আমরা আন্দোলন করতে চাই না। আমরা আমাদের দাবি পূরণ করে ঘরে ফিরতে চাই।
আন্দোলনকারীরা আরও জানান, দাবি আদায়ে তারা আজ সারা দিন শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান করবেন। পরিস্থিতি আলোকে বিকালে সমন্বয়ক কমিটির মিটিংয়ের পর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করে আজকের মতো কর্মসূচি সমাপ্ত করবেন।
আন্দোলনে অংশ নিয়ে রুবেল রানা বলেন, একটি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারীরা ১২ বছর ধরে রাস্তায় আন্দোলন করছে। একটি রাষ্ট্রের এটি বড় ব্যর্থতা। আমরা কখনোই রাস্তায় থাকতে চাই না। আমরা আজই প্রজ্ঞাপন নিয়ে ঘরে ফিরতে চাই। আমাদের বলা হয়েছে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে। আমরা এত দিন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে এসেছি, কিন্তু আজকের মধ্যেই চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করে প্রজ্ঞাপন জারি না করলে আমাদের অসহিংস আন্দোলন সহিংস আন্দোলনে নেওয়া হবে। আমরা ৩৫ চাই, আমাদের দাবি মেনে প্রজ্ঞাপন দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর আমাদের সঙ্গে যমুনায় আলোচনা শেষে সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। কমিশন গঠন শেষে আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সুপারিশ করে হয়। আমরা ভেবেছিলাম গত ১৬ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে ৩৫ মেনে নিয়ে। কিন্তু আমাদের সঙ্গে টালবাহানা করা হচ্ছে। দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা যাবো না।
এ সময় তিনি তার সহ-আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ করে বলেন, দাবি আদায় হওয়ার আগে যদি আমি মরে যাই, আমার লাশ নিয়ে আপনারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। দাবি আদায় হওয়ার পর আমার লাশের কফিনে শেষ পেরেক মেরে তারপর লাশ দাফন করবেন।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন সাথী আক্তার, সোলায়মান সাদসহ আরও অনেকই।