গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর দেশের অন্য থানাগুলোর মতো ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ফলে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী থানা। নতুন করে এই থানায় আবারও কার্যক্রম শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, ১০ তলা ভবনটিতে ওয়ারী থানা ও ট্রাফিক বিভাগের কার্যক্রম পরিচালিত হতো। সরকার পতনের পর থানা ভবনে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। সে সময় থানায় কোনও পুলিশ সদস্য না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে ব্যাপক লুটপাট চালানো হয় থানাটিতে।
তারা আরও জানায়, ভবনের নিচতলায় অগ্নিসংযোগ করা হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় পুলিশের ব্যবহৃত এই থানার সাতটি গাড়ি। বর্তমানে থানা ভবনে সংস্কারকাজ চলছে। ভবনের চার তলাকে ব্যবহার উপযোগী করে থানার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। থানার আওতাভুক্ত এলাকার নাগরিকরা থানায় আসছে, নেওয়া হচ্ছে অভিযোগ ও জিডি।
পুলিশ সদস্যরা জানান, অভ্যুত্থানের পর থানার কার্যক্রম শুরু হলেও এই থানায় কর্মরত সবার বদলি হয়ে গেছে। এ ছাড়া থানা ভবনে হামলায় থানার রেজিস্ট্রারগুলোও খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তার হিসাব করা যায়নি।
তবে থানায় আসার পর ফর্নিচার, এসি, ফ্যান, লাইট কিছুই পাননি পুলিশ সদস্যরা। তারা বলেন, চতুর্থ তলা ব্যবহার উপযোগী করার পর নতুন করে ফার্নিচার আনা হয়েছে। বর্তমানে পুলিশের কার্যক্রম কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বয় করা হচ্ছে। অস্ত্র ও যানবাহন কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বয়ক করা হয়েছে এই থানাতেও। বর্তমানে চারটি গাড়ি দিয়ে পেট্রোলিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া থানায় জনবল রয়েছে ৭০ জন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল আহমেদ বলেন, থানার সেবা কর্যক্রম পুরোদমে চলছে। নিয়মিত মামলা ও জিডি নেওয়া হচ্ছে। জনবল থাকলেও গাড়ির সংখ্যা কম। তারপরও আমরা নিয়মিত টহল জারি রেখেছি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি থানায় আসার পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী এই এলাকার অংশীজনদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদেরও পুলিশের কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তার অনুরোধ জানানো হয়েছে। যেহেতু থানাটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল, আপাতত চতুর্থ তলা থেকে থানার কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে। বাকি ফ্লোরগুলোর সংস্কার করতে সময় লাগবে।
তিনি বলেন, আমাদের সাময়িক অসুবিধা হলেও সেবাগ্রহীতাদের সেবা গ্রহণে কোনও প্রভাব নেই। আমরা সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে জনগণের জানমাল রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করার চেষ্টা করছি।