সৌদি আরবে আটক আট প্রবাসী বাংলাদেশির মুক্তির দাবি জানিয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা। একইসঙ্গে যাতে কর্মস্থলে তারা ব্যবসা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পানে, সেজন্য বাংলাদেশ সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সাগর-রুনী হলে ভুক্তভোগী পরিবারের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের একজন সদস্য মো. নুরুল কবির বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার সরকারের পতন হয়। বৈষম্যবিরোধী এই ছাত্র আন্দোলনে দেশের সর্বস্তরের মানুষের পাশাপাশি বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদেরও অকুণ্ঠ সমর্থন ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর দেশ এবং দেশের বাইরে বাংলাদেশিরা বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠেন। তেমনিভাবে সৌদি আরবের মাহাইল, আবাহাতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে গত ১৬ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মরণে বিএনপি, জামায়াত, হেফাজতে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের সমর্থনে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা থেকে আট বাংলাদেশিকে আটক করে সৌদি পুলিশ। গত ২৩ দিন ধরে তারা সৌদি আরবের কারাগারে আটক আছেন।
তিনি বলেন, পরিবাবের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিদের আটকের কারণে তাদের পরিবার অসহায় দিন যাপন করছেন। সৌদি পুলিশের হাতে আটক হওয়া প্রবাসী আট বাংলাদেশি হচ্ছেন— চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানার মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, হাফেজ রহমতুল্লাহ, খলিলুর রহমান, মোহাম্মদ ওমর ফারুক, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানার সেলিম উল ইসলাম, মাওলানা ইউসুফ ও বান্দরবান থানার মো. আশরাফুল ইসলাম।
আটক আট বাংলাদেশির মুক্তির জন্য তাদের পরিবারের সদস্যরা জানান, সৌদি আরবের মাহাইল পুলিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা ভুক্তভোগীর পরিবার ও আত্মীয় স্বজনরা বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করি। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টা ছাড়া তাদের মক্ত করা সম্ভব নয়। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ সরকার জোর প্রচেষ্টা চালালে আটক ব্যক্তিরা মুক্তি পাবেন।