দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের জাতীয় প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও নগর কমিটির নেতারা সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ক্রান্তিলগ্নে সহিংসতা পরিহার ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়। বিবৃতিতে সই করেছেন, ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের প্রেসিডেন্ট জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা প্রেসিডিন্ট আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি চৌধুরী কেএনএম রিয়াদ, ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবু হানিফ নোমান প্রমুখ।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, সদ্য পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত হামলা, লুটাপাট, অগ্নিসংযোগ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর হামলা, বিভিন্ন কলকারখানা, অফিস, আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম, বাসাবাড়িতে হামলা, মন্দির, উপাসনালয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এরই মধ্যেই রাষ্ট্রপতি, সেনাপ্রধান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করাসহ অনেক রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত, শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা ও সহিংসতা পরিহারের আহ্বান জানিয়েছেন। নতুন অর্ন্তবর্তী সরকার গঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের পেশাদার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অরাজকতা ও দৃস্কৃতকারীদের নৈরাজ্য ও লুটপাট থেকে শান্তিপ্রিয় জনগণের জানমাল রক্ষা করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। এভাবে চলতে থাকলে এই ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থায় নিত্যপণ্যের দাম ও খাদ্য মূল্যস্ফীতির আরও আরও বাড়বে। সার্বিক অর্থনীতি আরও ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে, যা এদেশের জনগণের জন্য কখনও কাম্য নয়।
এভাবে নৈরাজ্য, অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা চলতে থাকলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে বিগত ১৬ বছরের যে একানায়কতন্ত্রের অবসান হয়েছে, তা ম্লান হয়ে যাবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। এ সুযোগে তৃতীয় কোনও শক্তি উত্থানের মাধ্যমে ছাত্রজনতার এই রক্ষক্ষয়ী অর্জন ধুলিস্যাত হয়ে যাবে। আমরা এটা কখনও হতে দিতে পারি না।
এই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের সবার বিদেহী আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করছি। একইসঙ্গে এই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকার জন্য সবাইকে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।