ঢাকাকে ‘বেকারমুক্ত নগরী’ হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বুধবার (৩১ জুলাই) নগর ভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার সময় তিনি এ ঘোষণা দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্যানেল মেয়র ও ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শহিদ উল্লাহ মিনু, অর্থ ও সংস্থাপন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ সেলিমসহ কাউন্সিলর এবং বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা।
মেয়র তাপস বলেন, ‘ঢাকা শুধু বাংলাদেশের প্রশাসনিক রাজধানীই নয়, বরং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রমের অন্যতম চালিকাশক্তিও বটে। বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি ) ৩৬ শতাংশ ঢাকা জোগান দিয়ে থাকে। দেশের কর্মসংস্থানের একটি বড় অংশ এই ঢাকাতেই সৃষ্টি হয়। ফলে ঢাকা মহানগরী সারা দেশের জনগণের জন্য কর্মসংস্থানের অন্যতম একটি কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘‘অত্যন্ত পরিতাপের সঙ্গে লক্ষ্য করা যায় যে, ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাসরত, ভোটার এবং ঢাদসিক এলাকার বাসা, বাড়ি, স্থাপনার কর (হোল্ডিং ট্যাক্স) পরিশোধকারী পরিবারের অনেকেই এখনও বেকার রয়েছেন। তারা যথাযথ কর্মসংস্থান প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই ঢাকাবাসী সব পরিবারের কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে পাঁচ বছর মেয়াদি ‘মেয়র শেখ তাপসের কর্মসংস্থান কর্মসূচি, ঢাকা হবে বেকারমুক্ত নগরী’ কর্মসূচি ঘোষণা করছি।’’
এই কর্মসূচিতে ঠিক কারা উপকারভোগী হবেন তার বিশ্লেষণে মেয়র তাপস বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা, ভোটার এবং বাসা/বাড়ী/স্থাপনার কর (হোল্ডিং ট্যাক্স) প্রদানকারী ব্যক্তি, অথবা তার পরিবারের সদস্যরা। এখানে পরিবার বলতে ব্যক্তি, তার স্ত্রী বা স্বামী ও সন্তানদের (পুত্র/কন্যা) বুঝাবে। এই কর্মসূচি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার আওতায় ২০২৪-২০২৯ মেয়াদে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।’
যেসব খাতে সহযোহিতা করা হবে
১) মেধা ও যোগ্যতা অনুযায়ী ঢাদসিক, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা/প্রতিষ্ঠানে বিধি মোতাবেক নিয়োগ প্রাপ্তিতে সহযোগিতা।
২) মেধা ও যোগ্যতা অনুযায়ী বেসরকারি ব্যাংক ও অন্যান্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে চাকুরি/নিয়োগ প্রাপ্তিতে সহযোগিতা।
৩) উদ্যোগী ব্যক্তির নিজস্ব কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ঢাদসিকের বিপনী বিতান/বাজারে মেয়র কোটা থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মার্কেট উপ-আইন অনুযায়ী দোকান বরাদ্দ প্রদান।
৪) উদ্যোগী ব্যক্তির নিজস্ব ব্যবসা/বাণিজ্য শুরুর লক্ষ্যে বিনা জামানতে সুদমুক্ত দুই লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থ/তহবিল প্রদান।
৫) উদ্যোগী ব্যক্তির নিজস্ব ব্যবসা/বাণিজ্য শুরুর লক্ষ্যে বিনা জামানতে ব্যাংক থেকে দুই থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রাপ্তিতে সহযোগিতা।
প্রযোজ্য শর্তাবলি
১) হালনাগাদ কর পরিশোধকৃত ব্যক্তি অথবা পরিবারের সদস্য আবেদন করার যোগ্য হবেন।
২) পরিবারের যেকোনও উপযুক্ত সদস্য যেকোনও একটি কর্মসূচির আওতায় আবেদন করতে পারবে।