বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও দলটির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনসহ তিন জনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার (২৭ জুলাই) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমানের আদালত এই রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ে সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসিম ও কেন্দ্রীয় জামায়াতের কর্মপরিষদের সদস্য এবং গাজীপুর জেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি ড. মো. সামিউল হক ফারুকী।
এর আগে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক শিকদার মহিতুল আলম আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক জহির উদ্দিন স্বপন ও ড. মো. সামিউল হক ফারুকীর পাঁচ দিন এবং ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসিমের তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
আসামিদের পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে বনানীর সেতু ভবনে হামলার মামলায় গত ২২ জুলাই স্বপন, অসিম ও ফারুকীর ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওই রিমান্ড শেষে শনিবার মেট্রোরেলে নাশকতায় গ্রেফতার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর শিকদার মহিতুল আলম।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গ্রেফতার আসামিরা বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতা ও কর্মী। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ১৯ জুলাই দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র যেমন-রামদা, দা, কুড়াল, শাবল, কাটার, হাতুড়ি, অগ্নিসংযোগের সরঞ্জামাদি দ্বারা সজ্জিত হয়ে মিরপুর মডেল থানা এলাকায় কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনের প্রবেশবহির্গমন গেট ভেঙে প্রবেশ করে। এরপর মেট্রোরেলের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি ক্ষতিসাধন ও সরঞ্জামাদি আগুন দিয়ে ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি করে। উক্ত ধ্বংসাত্মক অর্ন্তঘাতমূলক ঘটনার সঙ্গে আসামিরা জড়িত আছে মর্মে ব্যাপক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ভিডিও ফুটেজ দেখে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সাক্ষীদের জবানবন্দি হতে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আসামিদের জড়িত থাকার বিষয়ে ব্যাপক সন্দেহের কারণ রয়েছে। তাই তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞেসাবাদ করা প্রয়োজন।