নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আন্তর্জাতিক নৌ সংস্থার (আইএমও) নির্বাহী পরিষদের নির্বাচিত সদস্য হিসেবে ১৩২তম আইএমও কাউন্সিলে ভাষণ দেওয়া বাংলাদেশের জন্য সম্মানের। ২০২৩ সালের আইএমও কাউন্সিল নির্বাচনে আমাদের এই কাউন্সিলে ফিরিয়ে আনার জন্য যেসব সদস্য রাষ্ট্র সমর্থন করেছিল, বাংলাদেশ তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক শিপিংয়ে জলদস্যুদের আক্রমণ এবং নিরীহ নাবিকদের জিম্মি করার বিরুদ্ধে অব্যাহত সচেতনতার জন্য বাংলাদেশ আইএমওর মহাসচিব আর্সেনিও ডমিনগুয়েজের প্রতি কৃতজ্ঞ। এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের উদ্ধার প্রক্রিয়ায় সহায়তার জন্য বহুজাতিক নৌবাহিনী এবং এমভি আবদুল্লাহ ও এর ক্রুদের সঙ্গে সংহতির জন্য আইএমওর সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞ বাংলাদেশ।
সোমবার (৮ জুলাই) যুক্তরাজ্যের লন্ডনে আন্তর্জাতিক নৌ সংস্থার (আইএমও) সদর দফতরে আইএমওর ১৩২তম কাউন্সিলের প্রথম অধিবেশনে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় আইএমওতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম এবং নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর এম মাকসুদ আলম উপস্থিত ছিলেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
গত মে মাসে আইএমও মহাসচিব আর্সেনিও ডোমিঙ্গুয়েজের বাংলাদেশে সফরের কথা স্মরণ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সে সময় বাংলাদেশের দ্রুত রূপান্তরিত সমুদ্র এবং ব্লু অর্থনীতির ল্যান্ডস্কেপ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মেরিটাইম ভিশন শেয়ার করতে পেরে আনন্দিত হয়েছিলাম। যা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে প্রণয়ন করেছিলেন।’
তিনি বলেন, ক্রমাগত হুমকি এবং লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর আক্রমণ, সামুদ্রিক বাণিজ্য রুট, নাবিকদের নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে। সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা অবিলম্বে বন্ধের দাবিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২৭২২ রেজল্যুশনকে বাংলাদেশ স্বাগত জানায়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের সক্ষমতার ঘাটতি ও অবকাঠামোতে বৃহত্তর বিনিয়োগ আকর্ষণ ও অর্থায়নের ক্ষেত্রে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা জরুরি। হংকং কনভেনশন অনুযায়ী বিকল্প ও সবুজ জ্বালানি, জাহাজ নির্মাণ এবং জাহাজ পুনর্ব্যবহারে আমাদের ন্যায্য রূপান্তরের জন্য অবকাঠামো ও সাশ্রয়ী মূল্যের প্রযুক্তি স্থানান্তর প্রয়োজন।