কোটা সংস্কার ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখার দাবিতে রবিবার (৭ জুলাই) থেকে শুরু হয় ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে অবরোধ কর্মসূচি। দ্বিতীয় দিনের মতো সায়েন্স ল্যাবের মোড়ে এই অবরোধ পালন করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
তবে রাজপথে এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করলেও, এর প্রভাব পড়েছে নিউমার্কেট এলাকার মার্কেটগুলোতে। প্রায় প্রতিটি মার্কেটই রয়েছে ক্রেতাশূন্য। বিক্রেতারা পার করছেন অলস সময়।
সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর থেকে নিউমার্কেট থানার আওতাধীন সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় অবরোধ করার ফলে এই পরিস্থিতি তৈরি হয় এসব মার্কেটের। যান চলাচলের সঙ্গে স্থবিরতা নেমে আসে মার্কেটগুলোতে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সব সময় ব্যস্ত থাকা নিউমার্কেট এলাকার চিত্র আজ অনেকটাই ভিন্ন। সড়কে নেই কোনও গাড়ি। ফুটপাতেও নেই কোনও দোকানপাট। ক্রেতা-বিক্রেতাশূন্য এই এলাকার চিত্র দেখলে বোঝা যায় এখানকার ব্যবসা-বাণিজ্যে কতটা ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে।
নিউমার্কেটের সামনে দিয়ে চলাচলকারী এক পথচারী তানজিম হোসেন বলেন, নিউমার্কেটের এমন ফাঁকা চিত্র দেখা ভাগ্যের ব্যাপার। এখান দিয়ে ঠিকমতো হাঁটা যেতো না। কিন্তু আজ পুরোই ফাঁকা। এটা একেবারেই এখানের সঙ্গে মানানসই নয়।
এখানকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাধারণত বিকালের দিকে নিউমার্কেট এলাকায় ক্রেতা বেশি থাকে। সন্ধ্যায় আরও বাড়ে। সেটা প্রায় রাত ১১টা পর্যন্ত চলে। কিন্তু এখন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে ক্রেতা একেবারেই নেই। সারা দিন দোকান খোলা রাখলাম কিন্তু বেচাকেনা হলো না।
রাতুল ফ্যাশনের বিক্রেতা মো. রিপন বলেন, আন্দোলনের কারণে ক্রেতারা আতঙ্কে মার্কেটে আসছে না। কখন কী হবে, এই ভয়ে তারা আসে না। এ ছাড়া গাড়ি চলাচলও বন্ধ। আজ সারা দিন কোনও বেচাকেনা হয়নি।
বনি ফ্যাশনের বিক্রেতা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার বেচাকেনা সাধারণ সময়ের থেকে কম হয়েছে। যেহেতু রাস্তাঘাট বন্ধ, এটার প্রভাব তো বেচাকেনায় পড়বেই।
এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, কেবল প্রতিবন্ধী ছাড়া আমরা সব কোটা বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। বিসিএস-সহ সব ক্ষেত্রে আমরা এই কোটা বাতিল চাই। আমরা রাজপথে থাকতে চাই না, আমাদের দাবি মেনে নিন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না।