X
বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪
১৯ আষাঢ় ১৪৩১

আদালত অবমাননা: দুই আইনজীবীর আপিল বিভাগে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
৩০ জুন ২০২৪, ১১:২৬আপডেট : ৩০ জুন ২০২৪, ১১:২৯

প্রধান বিচারপতিকে দেওয়া আদালত বর্জনের কর্মসূচি সংক্রান্ত চিঠিতে বিচার বিভাগ নিয়ে অবমাননাকর ভাষা ব্যবহারের অভিযোগে আদালত অবমাননার ঘটনায় আপিল বিভাগে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মহসিন রশিদ ও শাহ আহমেদ বাদল।

রবিবার (৩০ জুন) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে হাজির হয়ে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২১ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আইনজীবী মহসিন রশিদ বলেন, ‘আমরা মাফ চাচ্ছি। খুবই দুঃখিত। এ ধরনের চিঠি আর লিখবো না।’

এর আগে গত ১ ডিসেম্বর অ্যাডহক কমিটির প্যাডে প্রধান বিচারপতি বরাবর চিঠি দেন সুপ্রিম কোর্টের এই দুই আইনজীবী। পরে গত ৩ জানুয়ারি আদালত অবমাননামূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে তাদের তলব করেন আপিল বিভাগ। তাদের সশরীরে আপিল বিভাগে হাজির হয়ে আদালত অবমাননার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

তবে ১১ জানুয়ারি ব্যাখ্যা দিতে তাদের চার সপ্তাহ সময় দেন আপিল বিভাগ। এই চার সপ্তাহ সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের কোনও বেঞ্চে তারা মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না বলেও আদেশে বলা হয়।

দুই আইনজীবী হলেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের পৃষ্ঠপোষকতায় গঠিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল।

চিঠিতে যা বলেছিলেন দুই আইনজীবী
‘দেশে একটি অনির্বাচিত, জবাবদিহিহীন এবং অস্বচ্ছ ফ্যাসিবাদী শাসনের মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীদের ওপর নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। এর ফলে জনগণ প্রজাতন্ত্রের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছে। জনগণ নজিরবিহীন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ তামাশার সংসদে সদস্য নির্বাচন করতে যাচ্ছে।’

‘এর প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হিসেবে আইনজীবীরা গত ১ জানুয়ারি থেকে আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আদালত বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করে। এমন একটি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে আইনজীবী, জনগণ স্বাধীন, বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা রাখছে। আশা করছি মানবাধিকার রক্ষাকারী হিসাবে বিচার বিভাগ কার্যকরভাবে ভূমিকা পালন করবে।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘পুলিশ ও বিচার বিভাগকে উভয়ই সরকারের ফ্যাসিবাদী নিপীড়নের সহায়ক হয়ে উঠেছে। সাধারণ নাগরিকদের প্রাপ্য জামিন আবেদন নামঞ্জুর এবং দ্রুতগতিতে বিচার পরিচালনা করা ন্যায়বিচারকে কবর দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আদালত বর্জন কর্মসূচি চলাকালে মামলা সংশ্লিষ্ট যেসব আইনজীবী শুনানিতে অংশ নিতে অথবা নির্ধারিত তারিখে আদালতে উপস্থিত থাকতে পারবেন না, সেসব মামলার পরবর্তী কার্যক্রম আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হোক। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের অনুপস্থিতে মামলা খারিজ বা বিরূপ আদেশ দেওয়া উচিত হবে না।’

/বিআই/এনএআর/
সম্পর্কিত
সুপ্রিম কোর্টের সাংবাদিকদের আইন বিষয়ে দক্ষ হতে হবে: অ্যাটর্নি জেনারেল
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা
আজিমপুর মাতৃসদনে দুর্নীতি: চিকিৎসকসহ ১৪ জন অভিযুক্ত
সর্বশেষ খবর
গাইবান্ধায় বাস উল্টে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত, আহত ১০
গাইবান্ধায় বাস উল্টে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত, আহত ১০
ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে কে কার মুখোমুখি?
ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে কে কার মুখোমুখি?
দেমিরালের ইতিহাস গড়া গোলে কোয়ার্টার ফাইনালে তুরস্ক
দেমিরালের ইতিহাস গড়া গোলে কোয়ার্টার ফাইনালে তুরস্ক
সুনামগঞ্জে কমছে নদ-নদীর পানি, জনমনে স্বস্তি
সুনামগঞ্জে কমছে নদ-নদীর পানি, জনমনে স্বস্তি
সর্বাধিক পঠিত
এনবিআরে মতিউরদের সংখ্যা কত?
এনবিআরে মতিউরদের সংখ্যা কত?
শান্তর বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়: পাপন
শান্তর বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়: পাপন
এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বাড়লো
এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বাড়লো
কাঁঠাল দিয়ে বানিয়ে ফেলুন মজাদার এই ডেজার্ট
কাঁঠাল দিয়ে বানিয়ে ফেলুন মজাদার এই ডেজার্ট
১৪ খেলোয়াড়কে দলভুক্ত করেছে আবাহনী 
১৪ খেলোয়াড়কে দলভুক্ত করেছে আবাহনী