X
রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪
১৬ আষাঢ় ১৪৩১

আলোচিত সেই ছাগল এখন কোথায়?

আতিক হাসান শুভ
২৭ জুন ২০২৪, ১২:০০আপডেট : ২৭ জুন ২০২৪, ১৯:২৮

এবারের কোরবানির ঈদে ১৫ লাখ টাকা দাম হাঁকানো এক ছাগল নিয়ে জল গড়িয়েছে অনেক। মোহাম্মদপুরের আলোচিত খামার ‘সাদিক এগ্রো’র এই ছাগল কিনতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক তরুণ। বেরিয়ে আসে ওই তরুণের বাবা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমানের হাঁড়ির খবরও। ছেলের ছাগলকাণ্ডের পর তিনি হারান এনবিআরের পদ, সরে যেতে হয় সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকেও। ইতোমধ্যে তার সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

ছাগলের রশির প্যাঁচের মতোই প্যাঁচে পড়েছে ‘সাদিক এগ্রো’ খামারও। এরইমধ্যে গণমাধ্যমের খবরে অভিযোগ উঠে এসেছে, সাদিক এগ্রোর মালিক মো. ইমরান মূলত এই খামারের আড়ালে একজন গরু চোরাচালানকারী। তিনি ও তার সিন্ডিকেট ভারত, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে চোরাইপথে নানা জাতের গরু নিয়ে আসেন দেশে। এরপর সেগুলো চড়া দামে বিক্রি করেন। মোহাম্মদপুরের বছিলায় খালের জমি দখল করে খামার নির্মাণ করায় সাদিক এগ্রোতে স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। 

এত আলোচনার পর প্রশ্ন আসে, যে ছাগল নিয়ে এই ‘এলাহী কাণ্ড’, সেই ছাগলটির এখন কী অবস্থা?

আলোচিত সেই ছাগল, পাশে কথা বলছেন সাদিক এগ্রোর মালিক শাহ ইমরান হোসেন (ছবি: সংগৃহীত)

সাদিক এগ্রোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখনও অবিক্রীত রয়ে গেছে ৬২ ইঞ্চি উচ্চতার ওই ছাগলটি। এত বিশাল আকৃতির ছাগল সাধারণত দেশে সচরাচর দেখা যায় না। ঈদের সময় এই ছাগলের ওজন ছিল প্রায় ১৭৫ কেজি। খামারের লোকজন বলেছেন, এখন ওজন কিছুটা কমেছে।

ছাগলটির দাম ১৫ লাখ টাকা চাওয়ার পেছনে খামারের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছিল—‘উন্নত জাত ও উচ্চ বংশীয় মর্যাদাসম্পন্ন’। বিদেশি বিটল জাতের ছাগল বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছিল।

তবে এই ছাগলের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে খামারের কেউ পরিচয় প্রকাশ করে কথা বলতে চাননি বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে। তারা শুধু এটুকু বলেন, ছাগলটি বিক্রি হয়নি, খামারেই আছে। তবে তারা ছাগলটি দেখতে দেননি। 

বুধবার (২৬ জুন) খামারের একজন কর্মচারী নিজেকে সাদিক এগ্রো'র ম্যানেজার দাবি করে ছাগলটি সম্পর্কে কথা বলেন। তিনি দাবি করেন, ছাগলটির পেছনে দৈনিক হাজার খানেক টাকার মতো খরচ হয়। ছাগলকে কী খাওয়ানো হয়, জানতে চাইলে এক কথায় তার উত্তর ছিল, ‘পুষ্টিকর খাবার’। এর বাইরে তিনি আর কিছু বলতে চাননি।

ছাগলের সঙ্গে তরুণ ইফাত (ডানে), বাবা মতিউরের সঙ্গে ইফাত

সাদিক এগ্রোতে থাকা গরু-ছাগলের আকাশছোঁয়া দামের ব্যাপারে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের এখানে সব উচ্চবংশীয় মর্যাদাসম্পন্ন গরু-ছাগল। যেগুলো আসলে ওজনের বিবেচনায় বিক্রি করা হয় না। স্বাভাবিকভাবে খাবারগুলোতে গরু ছাগলের যেমন যত্ন নেওয়া হয়, এখানে তার চেয়ে বেশি যত্ন নিয়ে লালনপালন করা হয়। তাছাড়া এদের খাওয়া-দাওয়াও স্পেশাল।’

ছাগলকাণ্ডের এমন ঘটনা ব্যবসায় কোনও প্রভাব ফেলেছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এই কর্মচারী বলেন, ‘আমাদের এখানে কোরবানি ছাড়াও রেগুলার বড় গরু, ছাগল বিক্রি হতো। কিন্তু এই ঘটনার পর এখন বড় পশুর বিক্রি নেই।’

যে ছাগলটার দাম ১৫ লাখ টাকা হাঁকানো হয়েছে, তার আদৌ এমন দামের যৌক্তিকতা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটা খামার মালিক জানেন’।

তবে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি সাদিক এগ্রোর স্বত্বাধিকারী মো. ইমরানের সঙ্গে। তার মোবাইল নম্বরে বেশ কয়েকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি, হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে বার্তা পাঠিয়েও সাড়া মেলেনি। এমনকি মোহাম্মদপুরে খামারে গিয়েও তার খোঁজ মেলেনি।

সরিয়ে নেওয়া হয় সব পশু

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার পর রাজধানীর মোহাম্মদপুর রামচন্দ্রপুর খাল সংলগ্ন স্থানে সাদেক এগ্রোতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৫-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাববীর আহমেদের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়। তবে অভিযান শুরুর আগেই খামারের পশুগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়, যার মধ্যে ছিল ওই ছাগলও।

ছাগলটি এলো কোথা থেকে, জাত কী?

ছাগল কোথা থেকে এলো এ ব্যাপারে সাদিক এগ্রো কোনও তথ্য জানায়নি। তবে কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের খবরে দাবি করা হচ্ছে, সাদিক এগ্রো এই ছাগল মাস কয়েক আগে ১ লাখ টাকায় কেনে যশোর থেকে।

বাংলা ট্রিবিউনের যশোর প্রতিনিধি তৌহিদ জামান খোঁজ নেন এ বিষয়ে। যশোর সদরের এসএনএস অ্যানিমেল ফার্মের মালিক মাহমুদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমার খামার থেকে এই ছাগল বিক্রি করা হয়েছিল কিনা সে ব্যাপারে জানতে অনেক সাংবাদিক ফোন দিচ্ছেন। কিন্তু আমি এটা বিক্রি করিনি। যতদূর জানি, এটা বিক্রি হয়েছে খুলনা থেকে এবং খুলনার গোট ফার্ম নামে একটি খামার থেকে।  

১৫ লাখ টাকার সেই ছাগল (ছবি: সাজ্জাদ হোসেন)

এই খামারি বাংলা ট্রিবিউনকে আরও জানান, সাদিক এগ্রোর এই ছাগলটি আসলে বিটল জাতের নয়, তারা মিথ্যা বলেছে। বিটল জাতের ছাগলের চোখ হয় ঘোলা। এটা মূলত ‘আজমিরি’ জাতের ছাগল।

মাহমুদুল ইসলামের খামারে ২৫ থেকে ৩০টির মতো ছাগল আছে, যেগুলো তোতাপুরি, যমুনাপুরি ও ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের।

যশোর সদরের সবচেয়ে বড় শেখ হাটি হাট, বসে প্রতি সোমবার। হাটের ইজারাদারদের প্রতিনিধি মাহবুবুর রহমান লিপন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমাদের এখানে সাপ্তাহিক হাটে ২০০টির মতো ছাগল ওঠে। কিন্তু সাদিক এগ্রোর এই ছাগল এখানে কেউ দেখেনি। আমাদের জানা মতে, নড়াইলের লোহাগড়া থেকে একবার একটি ছাগল আসে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা দামের। যশোরে সেটি ১ লাখ ৬০ হাজার দামে বিক্রি হয়। সেটা ছিল রাজস্থানি জাতের।

আলোচিত ছাগলটি বিটল জাতের কিনা, এ সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নাইমুল নাসের বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বিটল জাতের ছাগল দক্ষিণ এশিয়ান দেশগুলো, বিশেষ করে ভারত ও পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে এসেছে। পরবর্তীতে বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গলের সঙ্গে এর প্রজনন ঘটে মিক্সড বিটলে রূপান্তর নিয়েছে। শারীরিক গঠনের জন্য অন্যান্য জাতের ছাগল থেকে সহজেই এদের আলাদা করে চিনতে পারা যায়। এদের পা লম্বা, কান ঝোলানো, আকৃতিও অনেক বড়। বাংলাদেশে অনেকে এই ছাগলকে ‘রাম ছাগল’ও বলেন। এই ছাগলের দুধ উৎপাদন ক্ষমতা যেমন বেশি, তেমনি বেশি মাংসের জন্য এদের বাণিজ্যিক মূল্যও বেশ চড়া। তবে সাদিক এগ্রোর ছাগলটি আসলেই অরিজিনাল বিটল কিনা সন্দেহ আছে। তাছাড়া ওই ছাগলের যে দাম চাওয়া হয়েছে তা কতটুকু সমীচীন তা বোধগম্য নয়।

আসলে কত হতে পারে ছাগলের দাম?

সাদিক এগ্রোর ১৫ লাখ টাকা দাম হাঁকানো ছাগলটির দাম সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন রাজধানীর শফিক মোল্লা নামে এক মাংস ব্যবসায়ী। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘আকার আকৃতি অনুযায়ী সব মিলিয়ে এই ছাগলের দাম ২ লাখ টাকার বেশি হবে না। কিন্তু এর দাম ১৫ লাখ টাকা হাঁকানো একেবারে অযৌক্তিক।’ এ ধরনের কর্মকাণ্ড বাজারে মাংসের দাম বাড়ার জন্য একভাবে দায়ী বলে অভিযোগ করেন ঢাকার এই মাংস ব্যবসায়ী।

ঈদের আগে মোহাম্মদপুরে সাদিক এগ্রো প্রাঙ্গণে এভাবেই প্রদর্শন করা হয় বড় বড় গরু

আকাশছোঁয়া পশুর দাম বাজারে প্রভাব ফেলে 

ছাগল ছাড়াও সাদিক এগ্রোতে আছে ‘কোটি টাকা’ মূল্যের বিদেশি জাতের গরু। এসব গরুর দাম ও বেচাকেনা নিয়েও আপত্তি জানান এই মাংস ব্যবসায়ী। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘আমরা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের খামার থেকে সশরীরে গিয়ে গরু-ছাগল ক্রয় করি। সাদিক এগ্রোর এলোমেলো দাম মিডিয়ায় ঢালাওভাবে প্রকাশের পর অন্য খামারিরাও অহেতুক গরু ছাগলের দাম বাড়িয়ে বলছে। সাদেক এগ্রো গরুর দাম কোটি টাকা হাঁকানোর পেছনে যে কারণ দেখায়, সেটা আসলে এক ধরনের প্রতারণা। তাছাড়া সেখানে যে জাতের গরুর কথা বলা হয়, তা তো এই দেশে আমদানি নিষিদ্ধ। তাহলে সেখানে এলো কোথা থেকে? প্রশাসনের উচিত এদিকে নজরদারি করা।’

সাদিক এগ্রো গত এপ্রিল মাসে ঢাকার আগারগাঁওয়ে প্রাণিসম্পদ মেলায় ১ হাজার ৩০০ কেজি ওজনের একটি গরু ওঠান। তখন দাবি করা হয়, তাদের এই গরু শতভাগ ব্রাহামা জাতের। দাম হাঁকা হয় কোটি টাকা। বলা হয়, ‘উচ্চ বংশীয় মর্যাদাসম্পন্ন’ হওয়ায় এ গরুর এত দাম। ঈদের আগে আরও একটি বড় গরু প্রস্তুত করেন তারা। গ্রে ব্রাহামা জাতের ওই গরুর দাম হাঁকা হয় দেড় কোটি টাকা। সেই গরুর ওজন ১ হাজার ৪০০ কেজি। তবে ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি নিষিদ্ধ করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর।

জাফর ব্যাপারী নামে রাজধানীর আরেক মাংস ব্যবসায়ী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, খামারিদের যে সংগঠন আছে সেখানকার সভাপতি সাদিক এগ্রোর মালিক ইমরান। এর ফলে দেখা গেছে, অন্য যেসব বড় বড় খামার আছে, সেখানে সাদিক এগ্রোর দামের প্রভাব পড়ে। এরা লালনপালনের খরচ বেড়ে যাওয়ার কথা বলা ছাড়াও দেশি গরুকে বিদেশি জাতের বলে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে। 

ঈদের আগে সাদিক এগ্রোতে বিভিন্ন জাতের গরু

এই ব্যবসায়ী আরও বলেন, করোনার আগেও কিন্তু ঢাকা শহরের গুরুর মাংস ৪৫০ টাকা কেজি ছিল। এখন সেই মাংস ৮০০ টাকার বেশি। এর পেছনে ইমরানের মতো ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট কাজ করছে বলেও অভিযোগ করেন এই মাংস ব্যবসায়ী।

দুশ্চিন্তায় প্রান্তিক খামারিরা

রাজধানীর বড় বড় গরুর ফার্ম বা এগ্রো পাল্লা দিয়ে গরুর দাম বাড়ালেও বিপাকে পড়তে হচ্ছে প্রান্তিক পর্যায়ের গরুর খামারিদের। সাদিক এগ্রোর চটকদার বর্ণনায় মুখে মুখে দাম বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে গরুর। এর মাধ্যমে বিভ্রান্ত হচ্ছেন প্রান্তিক কৃষকরা। বড় গরু পালায় আগ্রহী হলেও দাম পাচ্ছে না তারা। বলা চলে বেশিরভাগ সময় অবিক্রীত থাকে এসব বড় গরু। 

এ বিষয়ে কথা হয় নেত্রকোনার গরুর ব্যবসায়ী জসীম ব্যাপারীর সঙ্গে। তার খামারে মোট ১৩টি গরু ছিল। তার মধ্যে ১০টি গরু নিয়ে এবারের কোরবানির ঈদে ঢাকায় এসেছিলেন। এর মধ্যে ৬টি বড়, আর বাকিগুলো ছোট।

নিজের গরুর সঙ্গে এক প্রান্তিক খামারি (ফাইল ছবি)

বাজারে সাদেক এগ্রোর আকাশছোঁয়া গরুর দাম কীভাবে প্রভাব ফেলেছে সেই বর্ণনা দিয়ে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমার খামারে মাঝারি ধরনের যেসব গরু আছে সেগুলো ১ লাখ ৬০ বা ২ লাখের মধ্যে ছিল। আর বড় গরু ছিল ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। এটা আমি আমার খরচ অনুযায়ী হিসাব করে ধরেছি। কিন্তু হাটে আসার পর সবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে ধরা খেয়ে গেলাম। আমি যে গরুর দাম পাঁচ লাখ টাকা চাচ্ছি, সেই আকারের গরু দেখেছি সাদিক এগ্রো নানান গালগল্প বলে ২০ লাখ টাকা চাইছে। আর মানুষ সেটাই কিনছেন বলেও প্রচার করা হচ্ছে। এভাবে যখন বাজারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গরুর দাম বেড়েছে, তখন আর আমার বড় গরুগুলো বিক্রিই হয়নি।

সাত্তার নামে লক্ষ্মীপুরের এক গরুর খামারি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বেশি দামে গরু বিক্রির আশায় ঢাকার গরুর হাটে গিয়েছিলাম। কিন্তু উল্টো আম-ছালা দুটোই গেলো। লাভ তো হলোই না, প্রায় ২ লাখ টাকার মতো লস হলো। হাটে দেখলাম ছোট আকারের গরুর চাহিদা। বড় গরু নিয়ে পড়লাম বিপদে। টেলিভিশনে দেখি বড় বড় গরু বিক্রি হচ্ছে, কিন্তু বাস্তবতায় শূন্য। 

এই খামারি আরও বলেন, ‘ঢাকা শহরে গরু নিয়ে ঢুকলে অটোমেটিক গরুর দাম বেড়ে যায়। গরুর দাম বাড়লেও আমরা যারা বাইরে থেকে গরু নিয়ে আসি, তাদের গরু আর বেশি দামে বিক্রি হয় না। ঢাকার বড় ব্যাপারীরা ওই সুযোগ নেন।’ গরু বিক্রিতে প্রতারণা আর ছলচাতুরিও ঢুকে গেছে বলে দাবি করেন এই খামারি।

/ইউএস/এফএস/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সড়ক নিরাপত্তা আইনের দাবিতে তরুণদের সংহতি প্রকাশ
স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার, সাতজন গ্রেফতার
 ‘এখন কোথায় থাকবো, কী হবে পরিবারের’
সর্বশেষ খবর
বাংলাদেশের জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত হচ্ছে সুন্দরবনের মধু
বাংলাদেশের জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত হচ্ছে সুন্দরবনের মধু
এই সম্মান, ভালোবাসা তো আসলে দ্রাবিড়ের প্রাপ্য
এই সম্মান, ভালোবাসা তো আসলে দ্রাবিড়ের প্রাপ্য
দেখা নেই সূর্যের, কাপড় শুকাবেন কীভাবে?
দেখা নেই সূর্যের, কাপড় শুকাবেন কীভাবে?
এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য সব পরীক্ষা স্থগিত করলো ঢাবি প্রশাসন
এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য সব পরীক্ষা স্থগিত করলো ঢাবি প্রশাসন
সর্বাধিক পঠিত
খালি পেটে মধু এবং কালোজিরা খেলে কী হয়?
খালি পেটে মধু এবং কালোজিরা খেলে কী হয়?
রাষ্ট্র আমাকে বাঁচিয়ে রাখতে চায় কি না, প্রশ্ন ব্যারিস্টার সুমনের
রাষ্ট্র আমাকে বাঁচিয়ে রাখতে চায় কি না, প্রশ্ন ব্যারিস্টার সুমনের
গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণ ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ফিজিওথেরাপিস্ট গ্রেফতার
গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণ ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ফিজিওথেরাপিস্ট গ্রেফতার
টিভিতে আজকের খেলা (৩০ জুন, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (৩০ জুন, ২০২৪)
কোহলির ২ ঘণ্টা পর রোহিতও অবসরে
কোহলির ২ ঘণ্টা পর রোহিতও অবসরে