প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আজিজুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বুধবার (১৯ জুন) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে তাকে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি জানানো হয়।
মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দরের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ঢাকায় ডেপুটেশনে কর্মরত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আজিজুল ইসলামকে (লিভ, ডেপুটেশন অ্যান্ড ট্রেনিং রিজার্ভ পদ) সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি অনুযায়ী, বুধবার (১৯ জুন) থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
জানা যায়, রাজধানীর পরীবাগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আবদুর রহমানের বাসার লিফটে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের এক কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত ১৩ জুন রাজধানীর পরীবাগ এলাকার দিগন্ত টাওয়ারে মন্ত্রীর বাসার লিফটে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আবদুর রহমানের বাসার লিফটে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তা মলয় কুমার শূরকে মারধর করেছেন আজিজুল ইসলাম। অভিযোগ ওঠার পর কর্মকর্তার নতুন পদায়ন বাতিল করা হয়। এ ঘটনায় প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) ভুক্তভোগী কর্মকর্তা মলয় কুমার শূর শাহবাগ থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন তার বিরুদ্ধে।
মামলার এজাহারে মলয় কুমার উল্লেখ করেন, প্রশাসনিক বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রাণিসম্পদমন্ত্রী তার বাসভবন দিগন্ত টাওয়ারে তাকে ডেকে পাঠান। ১৩ জুন রাত সোয়া ৮টার সময় মন্ত্রীর বাসায় যান তিনি। কাজ শেষে সোয়া ৯টার দিকে টাওয়ারের লিফটে নিচতলায় নামেন। এ সময় লিফটের সামনে আজিজুল ইসলাম আগে থেকেই ভারী কোনও বস্তু নিয়ে অবস্থান করছিলেন। লিফটের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে মলয় শূরকে ধাক্কা দিয়ে লিফটের ভেতর ফেলে দেন তিনি। হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা ও নাকে আঘাতসহ জখম করেন। মলয় চিৎকার করলে নিরাপত্তা প্রহরীরা এগিয়ে আসেন। তখন ভয়ভীতি দেখিয়ে ও জীবননাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যান আজিজুল।
এরপর মলয়কে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তার মুখমণ্ডলে গুরুতর আঘাতের কারণে সেলাই দিতে হয়েছে।