X
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
৭ বৈশাখ ১৪৩২

‘কোটা বাতিলের জন্য প্রয়োজনে আবার রক্ত দেবো’

ঢাবি প্রতিনিধি
০৬ জুন ২০২৪, ২২:০৭আপডেট : ০৬ জুন ২০২৪, ২৩:৫৭

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ সব কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এদিন দুই দফায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন তারা।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকাল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি কলাভবন, মলচত্বর, ভিসি চত্বর, টিএসসি হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে গিয়ে একটি সমাবেশে মিলিত হয়। এর আগে বেলা ১১টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন করেন এক দল শিক্ষার্থী।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ‘কোটা প্রথা কোটা প্রথা-মানি না মানবো না’, ‘কোটা প্রথা বাতিল করো-করতে হবে’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’-সহ কোটা পুনর্বহালের বিপক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

সকালের মানববন্ধনে 'বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই', ‘চাকরিতে কোটা, মানি না মানবো না’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়/স্বাধীনতার বাংলায়, কোটার ঠাঁই নাই’, ‘হাইকোর্টের রায়, মানি না মানবো না’, ‘কোটা পদ্ধতি, কোটা পদ্ধতি, মানি না মানবো না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন তারা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, কোটা প্রথা কখনোই জাতির কল্যাণ বয়ে আনবে না। এটা দেশের মেধাবীদের সঙ্গে একধরনের উপহাস করা হচ্ছে। লাখ লাখ বেকারের দেশে অযোগ্যদের অগ্রাধিকার দেওয়ার মাধ্যমে আরও বেকার বৃদ্ধির একটি কৌশল তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ এমন সিদ্ধান্ত কখনোই মেনে নেবে না। শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদে আইনি ও রাজপথ, উভয় লড়াই-ই চালিয়ে যাবে।

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ২০১৮ সালের রাবার বুলেটের ক্ষত এখনও শুকায়নি। ২০১৮ সালে কার্জন হলে টিয়ারশেল খেয়েছিলাম, সেই জ্বলন এখনও শুকায়নি। সেদিন আমাদের ক্যাম্পাসে পুলিশ যেভাবে নির্যাতন করেছে, সেই ভয়াল অভিজ্ঞতা ভুলিনি।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা-সাম্যের যে স্পিরিট ছিল, এর বাইরে গিয়ে গুটি কয়েক শিক্ষার্থী হাইকোর্টে রিট করে কোটার পুনর্বহাল পেলো। কিন্তু সারা বাংলার শিক্ষার্থীরা তা মেনে নেবে না। কোটা বাতিল করার জন্য আমাদের আবার রাস্তায় নামতে হবে। মুক্তিযোদ্ধারা যে জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন, সেটা ছিল বৈষম্য নিরূপণের জন্য। অত্যন্ত দুঃখজনক, যারা কোটার জন্য আন্দোলন করছে, তারা নিজেদের কোটাধারী মেধাবী দাবি করছে।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিব ইসলাম বলেন, প্রথমবার কোটা আন্দোলন করতে গিয়ে অসংখ্য শিক্ষার্থী রাজপথে রক্ত দিয়েছে। ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রামসহ সারা দেশের রাজপথে শিক্ষার্থীরা রক্ত দিয়েছে। কোটা বাতিলের জন্য প্রয়োজনে আবার রক্ত দেবো।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী তারেকুল ইসলাম বলেন, ২৫ লাখ বেকারত্বের যে অভিশাপ নিয়ে বাংলাদেশ চলছে, সেটি উপেক্ষা করে যখন একচোখা কোটার রায় তা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজের হৃদয়কে চূর্ণ করে দেয়, আমাদের আশাহত করে। ২০১৮ সালের রক্তের দাগ এখনও শুকায়নি। কোটা বাতিলের জন্য প্রয়োজনে আমরা আবার রক্ত দেবো, তবু এমন রায় মেনে নেবো না।

/এনএআর/
সম্পর্কিত
ছয় দফা দাবিতে আগারগাঁওয়ে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মহাসমাবেশ
সারা দেশে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মহাসমাবেশ আজ
রবিবার সারা দেশে মহাসমাবেশ করবেন কারিগরি শিক্ষার্থীরা 
সর্বশেষ খবর
ছয় দফা দাবিতে আগারগাঁওয়ে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মহাসমাবেশ
ছয় দফা দাবিতে আগারগাঁওয়ে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মহাসমাবেশ
আপিল বিভাগের নতুন দুই বিচারপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত
আপিল বিভাগের নতুন দুই বিচারপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত
ফয়জুল করিমকে মেয়র ঘোষণার দাবিতে আদালতের সামনে অবস্থান
ফয়জুল করিমকে মেয়র ঘোষণার দাবিতে আদালতের সামনে অবস্থান
‘নারী বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি ন্যায়বিচারের অভিগম্যতা নিশ্চিতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ’
‘নারী বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি ন্যায়বিচারের অভিগম্যতা নিশ্চিতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ’
সর্বাধিক পঠিত
গাজীপুরে সেই দুই শিশুকে হত্যা করেছেন মা: পুলিশ
গাজীপুরে সেই দুই শিশুকে হত্যা করেছেন মা: পুলিশ
আ.লীগের ঝটিকা মিছিল, বিপাকে পুলিশ
আ.লীগের ঝটিকা মিছিল, বিপাকে পুলিশ
রাবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ৩ ভুল
রাবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ৩ ভুল
হিন্দু নেতা ভবেশ চন্দ্র রায় হত্যা: নিন্দা জানালো ভারত
হিন্দু নেতা ভবেশ চন্দ্র রায় হত্যা: নিন্দা জানালো ভারত
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল নিয়ে ডিএমপির বার্তা
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল নিয়ে ডিএমপির বার্তা