রাজধানীর পুরান ঢাকার রায় সাহেব বাজার এলাকায় গলির ভেতরে মায়ের সঙ্গে গল্প আর চিপস খেতে খেতে হেঁটে বাসায় ফিরছিল এক স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থী। চিপস খাওয়া শেষে সেই প্যাকেটটি ডাস্টবিনে না ফেলে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলতে দেখা যায় তাকে। একটু পরেই বাতাসে উড়ে এসে চিপসের সেই প্যাকেটটি ড্রেনে পড়ে। ড্রেনে উঁকি দিতেই দেখা যায়, শুধু চিপসের প্যাকেট নয়— সেখানে ঠাঁই মিলেছে বিস্কুট ও ড্রাই কেকের প্যাকেটসহ বিভিন্ন পানীয়ের বোতল। এছাড়া মানুষের মল ও খাবারের উচ্ছিষ্টে পরিপূর্ণ ছিল ড্রেনটি।
দোকান থেকে চিপস, বিস্কুট, কেক বা যেকোনও পানীয় কিনে খাওয়ার পর বেশিরভাগ পথচারীকে সেই প্যাকেট বা বোতল ডাস্টবিনে না ফেলে হরহামেশা রাস্তায় বা ফুটপাতে ফেলতে দেখা যায়। পরে সেই পলিথিনের প্যাকেট চলে যায় ড্রেনে। এতে করে পানি নিষ্কাশনের যে ব্যবস্থা, তাতে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে অল্প বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা, আর ভোগান্তিতে পড়েন পুরো নগরবাসী।
নগরবাসীর সচেতনতার অভাবে যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলার চিত্র প্রতিদিনই দেখা যায়। এনিয়ে কারও কোনও মাথা ব্যথা নেই। এই ময়লা-আবর্জনার কারণেও নগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
এছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন এবং পানি নিষ্কাশনের ভালো ব্যবস্থা না থাকায় রাজধানীতে অল্প বৃষ্টিতেই দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় খাল-বিল, নালা দখল হয়ে যাওয়ায় এবং ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা সঠিকভাবে পরিষ্কার না করাও জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ।
জলাবদ্ধতার সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন রাজধানীবাসী। একইসঙ্গে নগরবিদরা বলছেন, পরিকল্পিত নগরায়ণের অভাবে ও নাগরিক দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া নালা-নর্দমা-খাল সব দখল হয়ে যাওয়ার কারণে নিরবচ্ছিন্নভাবে ড্রেনের পানি নদী পথে যেতে না পারার কারণেও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আধুনিকায়নের দাবি জানিয়ে রাজধানীর পুরান ঢাকার বাসিন্দা ও পরিবেশকর্মী সাজিদ হোসেন বলেন, সিটি করপোরেশন থেকে প্রতিদিন রাজধানীর ময়লা-আবর্জনা বা অন্য যেসব বর্জ্য আছে, তা ব্যবস্থাপনা কাজ করা হয়। কিন্তু এর কোনও আধুনিকায়ন নেই। ড্রেনের ময়লা ভালো করে পরিষ্কার করা হয় না। প্রতিদিন রাস্তায় যে ময়লা জমে, তাও সম্পূর্ণ পরিষ্কার করা হয় না। এভাবে অল্প অল্প করে ময়লা জমতে জমতে একসময় ড্রেনে অনেক ময়লা জমে যায়। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে যায়। এখন ড্রেন যদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না থাকে, তাহলে তো জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবেই।
তবে এক্ষেত্রে রাজধানীবাসীকেও দায়ী করে এই পরিবেশকর্মী বলেন, মানুষের ন্যূনতম বিবেক ও কমনসেন্স নেই। কমবেশী সবাই রাস্তায় ও ফুটপাতে যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলে। দিন শেষে তাদের কর্মের ফলেই তাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। সরকার ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দেশের সুনাগরিক হিসেবে দায়িত্বশীলতার প্রমাণ দিয়ে মানুষের উচিত— যত্রতত্র ময়লা না ফেলা। এই দায়িত্বটুকু নিজের থেকে পালন করলে জলাবদ্ধতা অনেকাংশে কমে যাবে।
রাজধানীর পুরনো খাল ও নালাগুলো দখলমুক্ত না করতে পারলে জলাবদ্ধতার যে সমস্যা, তা সমাধান হবে না বলে উল্লেখ করেন নগরবাসী। রাজধানীর সূত্রাপুর এলাকার বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব জাবেদ হোসাইন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ২০ বছর আগেও যেসব এলাকায় খাল ছিল, আজ তার কোনও অস্তিত্ব নেই। সব দখল হয়ে গেছে। এর সঙ্গে প্রভাবশালীরা জড়িত। যে কারণে বারবার উদ্যোগ নেওয়ার পরেও এই খালগুলো দখলমুক্ত হচ্ছে না। রাজধানীতে জলাবদ্ধতা নিরসনের উপায় বের করতে হলে যেসব খাল এখনও অবশিষ্ট আছে, সেগুলো পুনরুদ্ধার করে পানি নিষ্কাশনের পথ সুগম করতে হবে। তাহলেই জলাবদ্ধতা নিরসন হবে।
জলাবদ্ধতা সমাধানের উপায় কী
সমস্যা যদি থাকে তাহলে সমস্যা সমাধানের উপায়ও আছে। সমস্যা সমাধানে স্বাভাবিকভাবে দুটি উপায় বিদ্যমান থাকে। একটি প্রতিরোধমূলক অপরটি প্রতিকারমূলক। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত হলে জলাবদ্ধতা নিরসনের বিষয়টি কখনও জটিল হতো না। এখন সমস্যা এতটাই জটিল যে, খুব সহজে এর সমাধানের পথ বের করা সম্ভব নয়। তবে আধুনিক বিশ্বের দিকে তাকালে প্রযুক্তিগত সমাধান অনুকরণের পন্থা খোলা আছে, যদিও তা বেশ ব্যয়বহুল।
উন্নত দেশগুলো জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতিরোধমূলক তথা সঠিক ভূমি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে আসছে। অনেক উন্নয়নশীল দেশেও জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধানে সবকিছু নতুন করে ঢেলে সাজিয়ে সমাধানের পথ বের করেছে। অনেক দেশ সড়ক ও আবাসন এলাকা ভেঙে খাল খনন করেছে, আবার কোথাওবা কৃত্রিম নদী খননের নজিরও আছে।
তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে জলাবদ্ধতা নিরসনের সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে— মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি করা, পানি নিষ্কাশনের পথ সুগম করা, পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজকে আধুনিকায়ন করা। রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ঘাটতি আছে বলেও মনে করেন অনেকে।
রাজধানীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭টি অত্যাবশ্যকীয় কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা দরকার বলে মনে করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক আকতার মাহমুদ। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, রাজধানীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করতে দুই সিটি করপোরেশনের কিছু অত্যাবশ্যকীয় কাজে অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন। যেমন- পানি প্রবাহের পথ নিরবচ্ছিন্ন ও নির্বিঘ্ন রাখা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উন্নতি, উন্মুক্ত পদ্ধতিতে খালের ব্যবহার, ওয়াটার রিটেনশন পন্ড (জলাধার) তৈরি, বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করা, পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ও আইনের প্রয়োগ এবং স্থানীয় কাউন্সিলরদের সমন্বয়ে কেউ যেন ড্রেনে ময়লা আবর্জনা ফেলতে না পারে, সেজন্য নগর সরকার বা সমন্বিত কমিটি প্রবর্তন।
এছাড়া রাজধানীবাসীর মাঝে সচেতনতা তৈরির কথাও জানান তিনি। এক্ষেত্রে যদি শাস্তি বা জরিমানার প্রয়োজন হয়, তবে সেটাও করার পরামর্শ দেন তিনি। কারণ রাজধানীবাসীর খামখেয়ালি মনোভাব ও অসচেতনতার কারণে ড্রেনে ময়লা জমে পানি নিষ্কাশনে ব্যাঘাত ঘটে। রাজধানীর মানুষ যদি সচেতন হয়ে যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা না ফেলে, নির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা ফেলে, তাহলে ড্রেনে পানি নিষ্কাশনে আর ব্যাঘাত ঘটবে না। এদিকে ড্রেনের সঙ্গে নালা-খাল বা অন্যান্য যে সবকিছু সংশ্লিষ্ট আছে, সেসব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দাবিও জানান তিনি।
রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সুশাসন ছাড়া ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক। তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে মহানগরের ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যানের প্রস্তাবনাগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা দরকার। যথাসময়ে প্রকল্পগুলো না নিতে পারলে পরবর্তী সময়ে সমাধান করতে গেলে অত্যন্ত ব্যয়বহুল হয়ে যায়। ঢাকা শহরের বসবাসযোগ্যতা আজকে হুমকির সম্মুখীন। তাই জলাবদ্ধতার সমস্যা নিরসন ব্যতীত আমাদের প্রিয় শহরের বাসযোগ্যতায় উন্নতি করা যাবে না।
বর্তমানে যেভাবে রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনের চেষ্টা চলছে, তা দিয়ে পুরোপুরি নিরসন করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহাম্মদ মেহেদী আহসান। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, যেখানে পানি থাকার কথা, যে পথ দিয়ে স্বাভাবিকভাবে পানি প্রবাহের কথা; সেটা নেই। তাহলে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে কীভাবে? তবে জলাবদ্ধতা কমানোর উপায় আছে। সেটা যদি দুই সিটি করপোরেশন ঠিকভাবে করতে পারে, তাহলে সম্ভব। যদি পানি প্রবাহ ও পানি নিষ্কাশনের পথ সুগম করতে পারে তাহলে জলাবদ্ধতা কমানো সম্ভব।
রাজধানীতে জলাধার সৃষ্টির বিষয়ে এই পরিকল্পনাবিদ বলেন, ‘রাজধানীতে আরও আট-দশটা হাতিরঝিল থাকা প্রয়োজন। এতে করে শুধু জলাধার তৈরি হবে— বিষয়টা এমন না। আরও অনেক সুযোগ-সুবিধা রাজধানীবাসী পাবে। উন্নত বিশ্বের দিকে যদি আমরা তাকাই, তাহলে দেখতে পাবো তারা জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণে ঠিক একই প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছে। সব জায়গাতেই নিয়ম এক। যারা মানছে তারা সুফল পাচ্ছে।’
শেখ মুহাম্মদ মেহেদী আহসানের ভাষ্য, ‘ঢাকা সিটির দুই করপোরেশন কাজ করছে কম, ফলাও করছে বেশি। একটা সময় জাপানের টোকিও শহরের অবস্থা ঢাকা শহরের অবস্থার থেকেও বাজে ছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তারা পুরো শহরকে ঢেলে সাজিয়েছে। এখন টোকিও বিশ্বের অন্যতম সুন্দর শহর। ঢাকা শহরকেও এভাবে ঢেলে সাজানো প্রয়োজন। তবে তার জন্য দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা।’
জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশন উদ্যোগ কী
আসন্ন বর্ষায় রাজধানীতে যেন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি ও নগরবাসী ভোগান্তিতে না পড়ে, সেজন্য আগেভাগে বিভিন্ন জায়গার ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল করার কাজ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ঢাদসিক)। জলাবদ্ধতা নিরসনের বিষয়ে সিটি কর করপোরেশন সূত্র জানায়, জলাবদ্ধতা মোকাবিলায় এরইমধ্যেই বিভিন্ন জায়গার ড্রেনেজ নির্মাণের কাজ চলছে। যদিও এর কারণে মানুষের চলাচলে কিছুটা সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু এতে করে বর্ষায় নগরবাসী জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই পাবে। তবে এক্ষেত্রে শুধু ড্রেনেজ নির্মাণেই জলাবদ্ধতা নিরসন করতে পারবে না। মানুষের সচেতনতা প্রয়োজন বলে মনে করেন ডিএসসিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিবছরের মতো এবারও রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। বংশাল, বাবুবাজার, মতিঝিল ওয়ারীসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকার খোঁড়াখুঁড়ির কারণে অর্ধেকজুড়ে সড়ক বন্ধ আছে। ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রাজধানীবাসীকে। তবে এই সাময়িক ভোগান্তি বর্ষায় জলাবদ্ধতার মতো বেহাল দশা থেকে মুক্তি দেবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের তথ্য বলছে, রাস্তা মেরামত, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাসহ নর্দমা পরিষ্কার করার কাজে গত দুই মাসে রাজধানীর শতাধিক রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়েছে। এছাড়া সরকারের অন্তত ১৩টি সংস্থা তাদের সেবা সচল রাখতে সড়ক খোঁড়াখুঁড়ির অনুমতি পেয়েছে। সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, নগরবাসীর সুবিধার্থেই এসব কাজ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ডিএসসিসির পরিবেশ সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খাইরুল বাকের বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বংশাল এলাকায় অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এজন্য বাবুবাজার থেকে বংশাল পর্যন্ত ড্রেনেজ নির্মাণের কাজ চলছে। ড্রেনেজ নির্মাণের কাজ শেষ হলে আশা করি, এই এলাকায় আর জলাবদ্ধতা হবে না। তবুও বলা যায়, না। এখানে মানুষের সচেতনতা প্রয়োজন। যত্রতত্র মানুষ তাদের উচ্ছিষ্ট ফেললে সেটা ড্রেনে পড়ে জলাবদ্ধতা তৈরি করতে পারে। বংশালের রাস্তার কাজ জুলাইয়ের মধ্যেই শেষ হবে বলে জানান তিনি।
জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ঢাদসিক) কী কী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে— এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসির প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনের এই বিষয়ে আমরা কোনও পরামর্শ দেই না। জলাবদ্ধতা নিরসনে কী কী উপায় নেওয়া হয়েছে তাও আমার জানা নেই। এটা চিফ ইঞ্জিনিয়ার ভালো বলতে পারবেন। কারণ জলাবদ্ধতার বিষয়গুলো নিয়ে যত পরিকল্পনা সেটা ওনারা করে থাকেন।
জলাবদ্ধতা নিরসনের উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমানকে এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন সম্পর্কে জানতে ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছিম আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মোবাইল ফোন করা হলেও তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল দখলমুক্ত করার বিষয়ে ৮ মে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস বলেছেন, ‘রাজধানীর যেসব খাল দখল হয়ে গেছে, সেগুলো পুনরুদ্ধার করার উদ্যোগ নিয়েছি। এরইমধ্যে শ্যামপুর, জিরানি, মান্ডা ও কালুনগর খাল পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী বছরের জুনের মধ্যে খালগুলো দৃশ্যমান হবে।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীর খালে-ড্রেনে কী ফেলা হচ্ছে, দেখানোর আয়োজন করেছে ডিএনসিসি