ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী হাফিজুর মোল্লা হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্য। সমাবেশ থেকে আবাসিক হলে গেস্টরুমে ছাত্র নির্যাতন বন্ধসহ ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস-দখলমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির দাবি জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে মধুর ক্যান্টিন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে তা ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে। সারা দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের অংশ হিসেবে তারা এই সমাবেশ করেন।
উল্লেখ্য, ঢাবি’র প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী হাফিজুর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তবে তার মৃত্যুর জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে পরোক্ষভাবে ছাত্রলীগকে দায়ী করা হয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
সমাবেশে ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সৈকত মল্লিক বলেন,‘সবাই বলছে হাফিজুর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। কিন্তু হাফিজের নিউমোনিয়া হওয়ার পেছনের কারণ কেউ বলছেন না। ছাত্রলীগের হল বাণিজ্য ও গেস্টরুম সংস্কৃতিই তার মৃত্যুর মূল কারণ।’
তিনি বলেন, হাফিজুর হলে রুম না পাওয়ায় গণরুমে থাকতেন। এজন্য জোরপূর্বক গভীর রাত পর্যন্ত তাকে ছাত্রলীগের শোডাউনে নিয়ে যাওয়া হতো। আপত্তি জানালে তাকে হল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হতো। অসুস্থ অবস্থায় শীতের রাতে দীর্ঘ সময় বাইরে থাকায় তার নিউমোনিয়া হয়। এক পর্যায়ে তিনি মারা যান। তাই এটিকে স্বাভাবিক ঘটনা বলা যায় না। এটি হত্যাকাণ্ড। ‘গেস্টরুম সংস্কৃতির’ কারণেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন,যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভাষা আন্দোলনের জন্য,স্বাধীনতা সংগ্রামে লড়াই করেছেন আজ তারা তাদেরই প্রতিষ্ঠানের এক ছাত্রের হত্যার বিচারের দাবি জানাতে ভয় পান। এ থেকেই বোঝা যায় বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের অবস্থা কী।
সমাবেশে দুই ছাত্র জোটের নেতারাসহ উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি শাখা সভাপতি লিটন নন্দী, ছাত্র গণমঞ্চের সাধারণ সম্পাদক নূর সুমন, ঢাবি ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজির প্রমুখ।
/এসআর/এনএস/এমএসএম/