সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির পদত্যাগ দাবি করে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল-সমাবেশ করায় বিএনপিপন্থি সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের আবেদন করা হয়েছে। ওই আবেদনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে স্বেচ্ছায় বিবাদি হতে আবেদন জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিএনপিপন্থি আরও ১৯৫ জন আইনজীবী।
ইউনাইটেড ল’ইয়ারস ফ্রন্টের কো কনভেনার সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিএনপিপন্থি এডহক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোহসীন রশিদ, বারের সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গিয়াসউদ্দিন, ফ্রন্টের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল, অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, সংবিধান সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব, ড. মেহেদী, গোলাম রহমান, খালেদ আহমেদ, মোহাম্মদ আলী, কে আর খান পাঠান, রেজাউল করিম, মু কাইয়ুম, রায়হান বিশ্বাস, নুরুল হুদা,জুয়েল মুন্সি সুমনসহ ১৯৫ জন আইনজীবী ওই আবেদন জানিয়েছেন। বুধবার (১৮ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করা হয়।
পরে আবেদনের বিষয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রচার সম্পাদক মাহবুবুর রহমান খান সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের সাত জন আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার যে অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের সঙ্গে আমরাও ওই মামলায় বিবাদি (অভিযুক্ত আসামি) হতে এই আবেদন করেছি। এখানে আজ পৃথক দুটি আবেদন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ‘আমরা বাংলাদেশের বিচারপতিরা আমরা হলাম শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’- আপিল বিভাগের এক বিচারপতির এমন বক্তব্যকে কেন্দ্র করে মিছিল-স্লোগান-সভা অব্যাহত রাখায় বিএনপিপন্থি সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়।
গত ২৯ আগস্ট এ বিষয়ে সাত জন আইনজীবীর নাম উল্লেখ করে আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী। অভিযোগ ওঠা সাত আইনজীবী হলেন- জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিমকোর্ট শাখার সভাপতি আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল, সাবেক সহ-সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল।
ওই আবেদনটি গত ৩০ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভগে শুনানি হয়। পরে শুনানির জন্য ১৯ অক্টোবর দিন ঠিক করেন আদালত।