ফিলিস্তিনের নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলের হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিশিষ্ট কয়েকজন নাগরিক। রবিবার (১৫ অক্টোবর) বিকালে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেন, আমরা সাম্প্রতিককালে অবরুদ্ধ গাজা এলাকায় ফিলিস্তিনবাসীর ওপর ইসরায়েলের হামলায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অবরুদ্ধ এলাকায় উপর্যুপরি অত্যাধুনিক সশস্ত্র আক্রমণের শিকার হচ্ছে শিশু, নারীসহ সাধারণ মানুষ। বিদ্যুৎ, পানিসহ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ বন্ধ করার ফলে মানবিক বিপর্যয় চরম পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। আমরা মনে করি নিরীহ জনসাধারণের ওপর নিপীড়ন, নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।’
বিবৃতিতে সুলতানা কামাল, রাশেদা কে চৌধুরী, রামেন্দু মজুমদার, ডা. সারওয়ার আলী, ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার, ডা. ফওজিয়া মোসলেম, ডা. রশিদ-ই-মাহবুব, এমএম আকাশ, রানাদাশ গুপ্ত, ড. জোবায়েদা নাসরিন, ড. সৈয়দ আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, তবারক হোসাইন, সালেহ আহমেদ, পারভেজ হাসেম, আব্দুল ওয়াহেদ, জহিরুল ইসলাম জহির, ড. সেলু বাসিত, সেলিম রেজা, অলক দাশগুপ্ত, একে আজাদ, জাহাঙ্গীর আলম, দীপায়ন খীসা, রেজাউল কবির, আব্দুর রাজ্জাক, গৌতম শীলের নাম উল্লেখ করা হয়।
বিশিষ্টজনেরা বলেন, ফিলিস্তিনবাসীকে আপন বাসভূমি থেকে উৎখাত করে ইসরায়েল রাষ্ট্র সৃষ্টি করা হয়েছিল। তারপর থেকে ধারাবাহিকভাবে হত্যা ও নির্যাতনের শিকার অধিবাসীরা নিজ ভূখণ্ডে উদ্বাস্তু জীবন যাপন করে চলেছে। সমগ্র ভূখণ্ড থেকে সরে এসে মাত্র একটি করিডর নির্ভর গাজা এলাকায় বসবাস করতে বাধ্য করা হয়েছে। সেখানেও জাতিসংঘের প্রস্তাব উপেক্ষা করে ইসরায়েল নতুন বসতি স্থাপনে লিপ্ত রয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত ইসরায়েল এই সকল অপকর্মে পশ্চিমা শক্তির সামরিক, বেসামরিক ও তথ্য মাধ্যমের সর্বাত্মক সহযোগিতা পাচ্ছে।