ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের অবসান, ভোটের অধিকার, গণতন্ত্র ও নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা জানিয়ে ছয়টি নারী সংগঠন মিলে ‘গণতান্ত্রিক নারী মঞ্চ’ নামে নতুন জোট আত্মপ্রকাশ করেছে।
সংগঠনগুলো হলো—শ্রমজীবী নারী মৈত্রী, নাগরিক নারী ঐক্য, সমাজতান্ত্রিক নারী জোট, নারী সংহতি, ভাসানী নারী মুক্তি পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার নারী আন্দোলন।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) পুরানা পল্টনের দারুসসালাম আর্কেড ভবনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মঞ্চের সমন্বয়ক শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর সভাপতি বহ্নিশিখা জামালী এই ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে মঞ্চের পক্ষ থেকে ১২ দফা দাবিও পেশ করেন তিনি।
বহ্নিশিখা জামালী বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন বিদায় দিতে ইতোমধ্যে গণতন্ত্র মঞ্চসহ বিরোধী দলগুলো রাজপথে গণ-আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে চলেছে। ছাত্র, শ্রমিক, সংস্কৃতিকর্মী, যুবসহ বিভিন্ন পেশাজীবীরাও এই আন্দোলনে নেমে পড়েছে। দেশবাসীর ন্যায্য এই আন্দোলনে ভূমিকা রাখতে ছয়টি দলের নারী সংগঠন ও নারী প্রতিনিধিরা একত্র হয়ে গণতান্ত্রিক নারী মঞ্চ গঠন করেন।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের অবসান ঘটিয়ে ভোটের অধিকার, গণতন্ত্র, নারীর অধিকার ও মুক্তি অর্জনে গণতান্ত্রিক নারী মঞ্চ আন্দোলন অব্যাহত রাখবে।
এ সময় রাষ্ট্র ও সমাজের সব ক্ষেত্রে নারীর প্রতি পুরুষতান্ত্রিক ও শ্রেণিগত শোষণ ও বৈষম্যের অবসান ঘটানোসহ ১২ দফা দাবি জানান গণতান্ত্রিক নারী মঞ্চের সমন্বয়ক বহ্নিশিখা জামালী।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক নারী ঐক্যের আহ্বায়ক শাহনাজ রানুর, সদস্যসচিব ফেরদৌসী আক্তার, সমাজতান্ত্রিক নারী জোটের সহসভাপতি ফারজানা দিবা, নারী সংহতির সমাজকল্যাণ সম্পাদক পপি রানি সরকার, ভাসানী নারী মুক্তি পরিষদের আহ্বায়ক সোনিয়া আকতার, রাষ্ট্রসংস্কার নারী আন্দোলনের সমন্বয়ক ড. নাসিমা এ রহমানসহ নারী নেতারা।