বেকারি পণ্যের দোকান হক স্টোর। কৃষি মার্কেটের প্রধান সড়কের পাশেই দোকানটি। রাত তখন আনুমানিক সাড়ে ৩টা। ওই দোকান থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন রাতের নিরাপত্তা প্রহরীরা। দ্রুত তারা বিদ্যুতের প্রধান লাইনটি বন্ধ করে দেন। এরপর নিজেরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে থাকেন। সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসকেও খবর দেন। অন্তত ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম গাড়ি আসে ঘটনাস্থলে। বাংলা ট্রিবিউনকে এমনটাই বলছিলেন নাইটগার্ড হিসেবে দায়িত্বরত মো. দিলশাদ।
মোহাম্মদপুরের প্রধান এই কাঁচাবাজারটিতে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৬০০টি। যার মধ্যে কাপড়ের দোকান, মুদি পণ্যের দোকান, জুতা, জুয়েলারি, বেকারি, প্লাস্টিক পণ্যসহ বিভিন্ন ধরনের দোকান রয়েছে। এর বাইরে সবজি বাজার, মাছ ও মাংসের বাজার রয়েছে। সবজি, মাছ ও মাংসের বাজার আগুন থেকে রক্ষা পেলেও বন্ধ রয়েছে।
নিরাপত্তা প্রহরী মো. দিলশাদ জানান, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌঁছার আগেই ভেতরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। হক স্টোরটিও বন্ধ ছিল। বিদ্যুতের শটসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে তার ধারণা।
প্লাস্টিক ও মুদি দোকানগুলোতে তেলসহ বিভিন্ন পণ্যের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এতে কোটি কোটি টাকার পণ্য পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা।
এদিকে হাজার হাজার উৎসুক জনতাকে ফায়ার সার্ভিস, সেনা ও বিজিবি সদস্যরা সরিয়ে দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আগুন নেভানোর কাজে পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা করছে পুলিশ।
এদিকে আইএসপিআর জানিয়েছে, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর অগ্নিনির্বাপণী সাহায্যকারী দল। উদ্ধার-সহায়তায় বিজিবিও মোতায়েন করা হয়েছে।