X
শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
১৩ বৈশাখ ১৪৩২

অর্থবছর অনুযায়ী ভূমি কর দেওয়ার প্রস্তাবিত বিল সংসদে

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৬ জুলাই ২০২৩, ১৮:৪৩আপডেট : ০৬ জুলাই ২০২৩, ১৮:৪৩

বাংলা সনের পরিবর্তে অর্থবছর হিসাবে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের বিধানসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তন এনে সংসদে বিল প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বিলে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া  কৃষি কাজের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তি বা পরিবারভিত্তিক কৃষিভূমির মোট পরিমাণ ৮ দশমিক ২৫ একর বা ২৫ বিঘা পর্যন্ত হলে ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে না। এ ছাড়া আঁখ ও লবণ চাষের ভূমি ও কৃষকের পুকুরও (বাণিজ্যিক মৎস্য চাষ ব্যতীত) মওকুফের আওতায় থাকবে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) ‘ভূমি উন্নয়ন কর বিল ২০২৩’ জাতীয় সংসদে তোলা হয়েছে। ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাতীয় সংসদে বিলটি তোলেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। ১৯৭৬ সালের ‘ল্যান্ড ডেভেলপমন্টে ট্যাক্স অর্ডিন্যান্স’ বাতিল করে নতুন  এই আইনটি করা হচ্ছে।

বিলে বলা হয়েছে, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান— এই তিন পার্বত্য জেলায় এই আইন কার্যকর হবে না। কৃষিভূমি পল্লী এলাকা বা পৌর এলাকা যেকোনও স্থানে অবস্থিত হোক সব ক্ষেত্রে অভিন্ন ভূমি উন্নয়ন কর হার ও শর্ত প্রযোজ্য হবে। অকৃষি ভূমির ভূমি উন্নয়ন করের হার নির্ধারণ করতে ভূমির মান ও ব্যবহার অনুযায়ী দেশের সব ভূমি একাধিক শ্রেণিতে শ্রেণিবিন্যাস করা যাবে।

বিদ‌্যমান ব‌্যবস্থায় বাংলা সন (বৈশাখ–চৈত্র) হিসাবে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হয়। নতুন বিলে বলা হয়েছে, ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হবে জুলাই–জুন অর্থবছর হিসাবে। প্রতি বছর জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে পরবর্তী বছরের ৩০ জুনের মধ্যে ভূমি উন্নয়ন কর জরিমানা ছাড়া দেওয়া যাবে।

সরকার যেকোনও ব্যক্তি বা যেকেনও শ্রেণীর ব্যক্তিবর্গ বা সংস্থাকে উন্নয়ন কর মওকুফ করতে পারবে।

বিলে বলা হয়, ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা যাবে। ইলেকট্রনিক পদ্ধতি সারা দেশে পূর্ণরূপে প্রবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত এই পদ্ধতির পাশাপাশি প্রচলিত পদ্ধতিতে যেকোনও ব্যাংকের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের ব্যবস্থা নিতে পারবে।

এক নাগারে তিন বছর ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ না করা হলে প্রথম থেকে তৃতীয় বছর পর্যন্ত বার্ষিক ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে জরিমানা হবে। তৃতীয় বছর শেষে বকেয়া ভূমি উন্নয়ন কর সার্টিফিকেট মামলা করে আদায় করা হবে।

বিলে বলা হয়েছে, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা প্রতিবছর জুলাই মাসের মধ্যে এলাকা পরিদর্শন করে ভূমির ব্যবহারভিত্তিক অবস্থা বিবেচনা করে নির্ধারিত ফরমে সব মৌজার ভূমি উন্নয়ক কর নির্ধারণ করে, তা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে পাঠাবেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) তা পরীক্ষা করে অনুমোদন করবেন।

বিলটি আইনে পরিণত হলে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে সর্বসাধারণ উপকৃত হবেন এবং স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক হবে বলে জানান ভূমিমন্ত্রী।

 

/ইএইচএস/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
আধুনিক ‘ল্যান্ড সার্ভিস গেটওয়ে’ চালুর উদ্যোগ
জরিপ এলেই জমি রেকর্ড হয় অন্যের নামে, উৎকণ্ঠায় চরবাসী
ধর্মীয়-রাজনৈতিক পরিচয় নয়, অপরাধীর পরিচয় ‘অপরাধী’: হাসান আরিফ
সর্বশেষ খবর
ময়মনসিংহে বাকৃবির শিক্ষার্থীদের ট্রেন অবরোধ
ময়মনসিংহে বাকৃবির শিক্ষার্থীদের ট্রেন অবরোধ
মার্কিন শুল্কনীতি: সংকট মোকাবিলায় তৈরি হচ্ছে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব
মার্কিন শুল্কনীতি: সংকট মোকাবিলায় তৈরি হচ্ছে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব
সড়ক ইজারা দিলো পৌরসভা, ২০ টাকার খাজনা ১০০ টাকা নেওয়ায় সংঘর্ষ-মামলা
সড়ক ইজারা দিলো পৌরসভা, ২০ টাকার খাজনা ১০০ টাকা নেওয়ায় সংঘর্ষ-মামলা
বাঁধ ভেঙে পাটলাই নদীর পানি প্রবেশ করছে টাংগুয়ার হাওরে
বাঁধ ভেঙে পাটলাই নদীর পানি প্রবেশ করছে টাংগুয়ার হাওরে
সর্বাধিক পঠিত
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে কড়া কথা বললে অনেকের নাকি কষ্ট লাগে: মামুনুল হক
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে কড়া কথা বললে অনেকের নাকি কষ্ট লাগে: মামুনুল হক
মেলার প্যান্ডেল ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে আগুন দিলো বিক্ষুব্ধ জনতা
মেলার প্যান্ডেল ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে আগুন দিলো বিক্ষুব্ধ জনতা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে ঢিল ছুড়েছে দুর্বৃত্তরা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে ঢিল ছুড়েছে দুর্বৃত্তরা
কর্মচারীদের সমান উৎসব ভাতা পেতে যাচ্ছেন বেসরকারি শিক্ষকরা
কর্মচারীদের সমান উৎসব ভাতা পেতে যাচ্ছেন বেসরকারি শিক্ষকরা
উ. কোরিয়ায় ৫ হাজার টনের অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ উদ্বোধন
উ. কোরিয়ায় ৫ হাজার টনের অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ উদ্বোধন