জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মির্জা তাসলিমা বলেন, যেকোনও দুর্যোগ মুহূর্তে নারী একটি দুর্বল অবস্থানে থাকে। বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর থেকে অনেক কাজ হয়েছে , কিন্তু মতাদর্শের জায়গায় হাত দেওয়া খুব কঠিন ছিল। এই জায়গায় যখনই কাজ কোর্টে কেউ গেছে তাদেরকে ভেঙেচূড়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ যেটি প্রাধান্যকারী মতাদর্শ, আধিপত্যকারী মতাদর্শের জায়গায় কোনও পরিবর্তন আনতে গেলেই তার বিরোধের মুখোমুখি হতে হয়। যা কিছু চলছিল সমাজে সেই জায়গায় পরিবর্তন কেউ পছন্দ করে না। সেই সময় তাই ভীষণ প্রতিরোধের মুখে পড়েছিল। ফলে সেই সময় যে জায়গায় দরকার ছিল, কাজের পরিবেশের জন্য মতাদর্শে হাত না দেওয়া।
সোমবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মির্জা তাসলিমা বাংলা ট্রিবিউন আয়োজিত বৈঠকিতে এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, মতাদর্শে হাত দিলে নারী কাজ কোর্টে গেলে তার ওপর যে বোঝা আছে, যে চাপ আছে সেটা থেকে বেরিয়ে আসা কিন্তু এতো সহজ হবে না। এমনিতেও পরিকল্পনা নিয়ে এগুতে হবে কিন্তু পরিকল্পনা করলেও যে রাতারাতি বদলে যাবে সেটাও আশা করা ঠিক হবে না। এটা একটি দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। আমার কাছে মনে হয় এখানে এখনও কোন কাজ শুরু হয়নি।
বাংলা ট্রিবিউনের প্রধান প্রতিবেদক উদিসা ইসলামের সঞ্চালনায় এই অনলাইন আলোচনায় আরও যুক্ত ছিলেন– মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষক কাবেরি গায়েন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক জাকির হোসেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক বখতিয়ার আহমেদ।
ওয়েবিনারটি বাংলা ট্রিবিউনের পেইজে সরাসরি প্রচার করা হয়।