কেরানীগঞ্জে প্লাস্টিক কারখানায় আগুনের ঘটনায় দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম মফিজুল ইসলাম (৪৫)। তার শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এ নিয়ে ওই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ জনে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউ’তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মফিজুল ইসলাম মারা যান। আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শঙ্কর পাল এ তথ্য জ্নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।’
নিহত মফিজুল ইসলামের বাবার নাম অলি মিয়া। তার বাড়ি কুমিল্লা জেলার মেঘনা থানার সোনাকান্দা গ্রাম। তিনি ঢাকার বংশালের আরমানিটোলায় থাকতেন।
প্রসঙ্গত, ওই আগুনের ঘটনায় দগ্ধ এখনও ১১ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কা মুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
উল্লেখ্য, গত ১১ ডিসেম্বর বিকালে ওই প্লাস্টিক কারখানায় আগুনের ঘটনা ঘটে। এসময় ঘটনাস্থলে এক জন নিহত হন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এসময় অন্তত ৩৭ জন দগ্ধ হন। এদের মধ্যে ৩৪ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢামেক হাসাপতালে ভর্তি করানো হয়।
আগুন লাগা কারখানাটির সরকারি কোনও অনুমোদন ছিল না বলে জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। গ্যাসের পাইপের লিকেজ থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।