লেখকের কাজকে পুঁজি করেই প্রকাশক টিকে থাকেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল) এর পরিচালক মাহরুখ মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘লেখকের রয়্যালটি চাইতে হবে কেন? এটা তো তার অধিকার। কাজেই এটা প্রকাশক দিতে বাধ্য। প্রকাশক টিকে আছেন লেখকের কাজকে পুঁজি করে। সেখানে তো কোনও দ্বিতীয় কথা থাকার কথা না।’
মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর পান্থপথে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউন স্টুডিওতে আয়োজিত ‘রয়্যালটি: লেখক-প্রকাশক মুখোমুখি’ শীর্ষক বৈঠকিতে এসব কথা বলেছেন মাহরুখ মহিউদ্দিন।
এই ব্যবসায় ইমোশনাল দিক থাকবেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘প্রকাশনা শিল্পের সঙ্গে যারা জড়িত, অবশ্যই সেটার পেছনে ইমোশনাল একটা দিক থাকে। অনেক ঝুঁকি নিয়ে প্রকাশকরা এই ব্যবসায় আসছেন। সেখানে ইমোশনাল দিকটা থাকবেই। সেই সঙ্গে যদি আমরা পেশাদারিত্ব এবং ব্যবসায়িক দিকটা নিরাপদ না করি, তাহলে প্রকাশকের অবশ্যই অধিকার আছে কোনও একটা ফরমালিটি না করার। সেই জায়গায় কমিউনিকেশনটা কী হচ্ছে, সেটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ‘
রয়্যালটির প্রসঙ্গে লেখক-প্রকাশক স্পষ্ট আলোচনাকে গুরুত্ব দিয়ে মাহরুখ মহিউদ্দিন বলেন, ‘যদি প্রকাশক মনে করেন কোনও বই বিক্রি হবে না, তিনি রয়্যালটি দিতে পারবেন না, সেটা তিনি সরাসরি বলুক। কিংবা রয়্যালটি কম দিবো কিন্তু এটা আমরা প্রকাশ করতে চাই, সেটা নিয়েও চুক্তি হতে পারে। লেখকরা কিন্তু এরকম চুক্তিতে রাজিও হন, কারণ তারা চান বইটি পাঠকের কাছে পৌঁছাক। যার লেখা দিয়ে আমি ব্যবসা করছি তার অধিকার আমি সংরক্ষিত করছি কিনা, সেই দায়বদ্ধতার জায়গা প্রকাশকের হাতেই বেশি।’
সাংবাদিক মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় বৈঠকিতে আরও অংশ নিয়েছেন বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ড. শামসুজ্জামান খান, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি) এর সহযোগী অধ্যাপক ও কথাসাহিত্যিক আহমাদ মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক ও ভাষাচিত্রের স্বত্বাধিকারী খন্দকার মনিরুল ইসলাম, লেখক ও সাংবাদিক মাহবুব মোর্শেদ, লেখক ও বাংলা ট্রিবিউনের গবেষণা বিভাগের প্রধান শেরিফ আল সায়ার।
আরও খবর:
‘রয়্যালটি: লেখক-প্রকাশক মুখোমুখি’ শীর্ষক বৈঠকি চলছে
‘কারাগারের রোজনামচা’র জন্য ২০ শতাংশ রয়্যালটি দেওয়া হয়েছে: ড. শামসুজ্জামান খান
৮৫ শতাংশ বই প্রকাশ হয় ইমোশনালি: খন্দকার মনিরুল ইসলাম