X
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
১২ বৈশাখ ১৪৩২

বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ ৪৪ হাজার মিলিয়ন ডলার

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৩ নভেম্বর ২০২০, ১৮:১৪আপডেট : ২১ জুলাই ২০২২, ১৬:২৫

প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক, ছবি: ফোকাস বাংলা বাংলাদেশের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ৪৪ হাজার ২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটি জিডিপির ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এই ঋণের মধ্যে ৩৭ শতাংশ বিশ্বব্যাংকের, ২৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ এডিবির, জাইকার ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ, চীনের ৬ দশমিক ৮১ শতাংশ, রাশিয়ার ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ, ভারতের এক দশমিক ৩ এবং অন্যান্য সংস্থা থেকে নেওয়া ঋণের হার ৬ দশমিক ৪ শতাংশ।

সোমবার (২৩ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ দেশের বৈদেশিক সহায়তা সম্পর্কে  উপস্থাপিত প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হওয়ায় বৈদেশিক সহায়তায় অনুদানের পরিমাণ ন্যূনতম পর্যায়ে নেমেছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বৈদেশিক সহায়তায় অনুদানের পরিমাণ ছিল ৮৪ থেকে ৮৬ শতাংশ, বাকিটা ছিল ঋণ। এখন সেই অনুদানের পরিমাণ নেমেছে তিন শতাংশে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘২০০৯-১০ সালে দেশে অনুদান এসেছে ৩০ শতাংশের মতো, ৭০ শতাংশের মতো আসল ঋণ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে অনুদান আসছে সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশের মতো, আর ঋণ হিসেবে এসেছে ৯৫ শতাংশ।’

‘১৯৭১-৭২ সালে বাংলাদেশের বৈদেশিক সহায়তার আওতায় অনুদান ছিল সর্বোচ্চ ৮৪-৮৫-৮৬ শতাংশ, ঋণ ছিল ৬ থেকে ৮ শতাংশ। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে অনুদান আরও কমে গেছে, ২/৩ শতাংশের মধ্যে রয়েছে। ৯৭ শতাংশেই আসছে লোন হিসেবে। আমরা আর দানের ওপর নির্ভর করছি না।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘রি-পেমেন্টের ক্ষেত্রে কোনোদিনই খেলাপি হয়নি বাংলাদেশ। ’

তিনি জানান, ১৯৯৭-৯৮ সালে বাংলাদেশের বৈদেশিক সহায়তার অর্থছাড় ছিল ৭৪৮ মিলিয়ন ডলার। তখন বাংলাদেশের জিডিপির ৩০ দশমিক ৪৭ শতাংশ ছিল ঋণের পরিমাণ। ২০১৯-২০ সালে বাংলাদেশের অর্থছাড়ের পরিমাণ হচ্ছে সাত হাজার ১২১ মিলিয়ন ডলার, এটা জিডিপির ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

‘১৯৮৯-৯০ অর্থবছরে বাংলাদেশের এডিপি (বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি) ছিল পাঁচ হাজার ১০৩ কোটি টাকা। এরমধ্যে বৈদেশিক সাহায্য ছিল তিন হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। এই এডিপির ৬৩ শতাংশ ছিল বৈদেশিক সহায়তা। ২০০৯-১০ অর্থবছরে এডিপির বরাদ্দ ২৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এরমধ্যে বৈদেশিক সহায়তা ছিল ১১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এডিপিতে ফরেন এইডের কন্ট্রিবিউশন ছিল ৩৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ।’

‘আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এডিপির পরিমাণ এক লাখ ৭৬ হাজার ৬২০ কোটি টাকা, এতে বৈদেশিক সহায়তা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫১ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা। বৈদেশিক সাহায্য বাড়লেও শতকরা হিসাব নেমে এসেছে ২৯ দশমিক ২৫-এ। আমাদের নিজস্ব বিনিয়োগ এত বেড়ে গেছে যে, বাইরের লোন এলেও এটা শতাংশের হারে অনেক নিচে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, ‘বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করছি জিডিপির ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০ শতাংশ পর্যন্ত সেফটি রেঞ্জ। আমরা অনেক নিচে আছি।’ ‘আমাদের ঝুঁকি নেই। বৈদেশিক ঋণ যখন জিডিপির ৪০ শতাংশ বা এর বেশি হয়ে যায়, তখন ঝুঁকি থাকে। আমাদের জিডিপির তুলনায় বৈদেশিক ঋণ হলো ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ।’

/এসআই/এপিএইচ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
ঢাকায় আসছে আইএমএফের দল, ঋণের ২ কিস্তি মিলবে কবে?
বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ বেড়েছে, কমেছে উন্নয়ন সহযোগীদের অর্থছাড়
আরও ৬০ কোটি ডলার দেবে এডিবি
সর্বশেষ খবর
টিভিতে আজকের খেলা (২৫ এপ্রিল, ২০২৫)
টিভিতে আজকের খেলা (২৫ এপ্রিল, ২০২৫)
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ৯৯টি ককটেল ও ৪০টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ৯৯টি ককটেল ও ৪০টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার
রাস্তায় নারীদের উত্ত্যক্তের ভিডিও ভাইরাল: আরও এক যুবক গ্রেফতার
রাস্তায় নারীদের উত্ত্যক্তের ভিডিও ভাইরাল: আরও এক যুবক গ্রেফতার
নোয়াখালীতে ১০ মামলার আসামি ডাকাত সর্দার কোরবান আলী গ্রেফতার
নোয়াখালীতে ১০ মামলার আসামি ডাকাত সর্দার কোরবান আলী গ্রেফতার
সর্বাধিক পঠিত
ডা. জাহাঙ্গীর কবির-তাসনিম জারার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নোটিশ
ডা. জাহাঙ্গীর কবির-তাসনিম জারার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নোটিশ
ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে প্রধান উপদেষ্টাকেও ডাস্টবিনে ছুড়তে দেরি হবে না
ফেনীতে মামুনুল হকইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে প্রধান উপদেষ্টাকেও ডাস্টবিনে ছুড়তে দেরি হবে না
ক্যামেরায় ধরা পড়লো শিবির নেতা হত্যা মামলার আসামিকে গুলি ও কোপানোর দৃশ্য
ক্যামেরায় ধরা পড়লো শিবির নেতা হত্যা মামলার আসামিকে গুলি ও কোপানোর দৃশ্য
সাবেক রাষ্ট্রপতি হামিদের জামাতাকে অবসরে পাঠালো সরকার
সাবেক রাষ্ট্রপতি হামিদের জামাতাকে অবসরে পাঠালো সরকার
ত্বকের যত্নে গোলাপজল ব্যবহার করলে যেসব উপকার পাবেন
ত্বকের যত্নে গোলাপজল ব্যবহার করলে যেসব উপকার পাবেন