অনুমোদন না থাকার কথা উল্লেখ করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে করোনাভাইরাসের আরটিপিসিআর পরীক্ষা, ব্লাড ট্রান্সফিউশন ও প্লাজমা সেন্টার বন্ধ রাখতে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সোমবার (৩১ আগস্ট) ডা. জাফরুল্লাহ স্বাক্ষরিত স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে এ কথা জানানো হয়।
গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে কেভিড-১৯-সহ অন্যান্য রোগ নির্ণয়ে মলিকিউলার ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে আরটিপিসিআর পরীক্ষা এবং ব্লাড ট্রান্সফিউশন ও প্লাজমা সেন্টার চালু করা প্রসঙ্গে এই চিঠি দেন ডা. জাফরুল্লাহ। এতে তিনি স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজিকে বলেন, সুবিধাজনক সময়ে আমাদের কার্যক্রম পরিদর্শন করে জনগণকে উৎসাহিত করার আবেদন জানাচ্ছি।
চিঠিতে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আজ সোমবার (৩১ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে পরিচালক, হাসপাতাল, স্বাস্থ্য অধিদফতর ফোন করে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের পরিচালককে জানান, আপনাদের অনুমোদন নাই এবং আরটিপিসিআর পরীক্ষা এবং ব্লাড ট্রান্সফিউশন ও প্লাজমা সেন্টার বন্ধ করবেন। কাজ চালু রাখলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আরটিপিসিআর ফর কোভিড-১৯ এবং ব্লাড ট্রান্সফিউশন ও প্লাজমা সেন্টারের জন্য আলাদা অনুমতি চেয়ে চিঠি দিতে হবে।
চিঠিতে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, গত ১২ আগস্ট স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল পরিচালককে জিআর কোভিড-১৯ আরটিপিসিআর পরীক্ষা এবং প্লাজমা সেন্টারের কার্যক্রম চালু করার জন্য ই-মেইলে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু তার কাছ কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই আজ ৩১ আগস্ট পুনরায় চিঠি দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল বিভাগের পরিচালকের বক্তব্য জনস্বার্থবিরোধী, অবিবেচনাপ্রসূত ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেন ডা. জাফরুল্লাহ। তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিভিন্ন ব্যবস্থাপনা বিষয়ক দুর্বলতা ইতোপূর্বে আমি প্রধানমন্ত্রী বরাবরে খোলা চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ‘বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতালকে’ স্বাধীনতার পর ‘গণস্বাস্থ্য ও পুনর্বাসন কেন্দ্র’ নামকরণ এবং ১৯৭৪ সালে সরাসরি নির্দেশের মাধ্যমে হাসপাতাল স্থাপনের জন্য প্রায় ৩১ একর জমি হুকুম দখল করিয়ে দিয়েছিলেন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ খাতে ব্যাপক কার্যক্রম ও সফলতার জন্য বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জাতীয় পুরস্কার ‘স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার’-এ ভূষিত করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটিকে।
গত ২৪ মের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী নিবন্ধিত দাতব্য প্রতিষ্ঠান হাসপাতাল হিসেবে দেশের প্রচলিত নিয়মে দক্ষ ও অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ, উন্নতমানের যন্ত্রপাতির সহায়তায় স্বল্পমূল্যে কোভিড-১৯-এর আরটিপিসিআর পরীক্ষা এবং ব্লাড ট্রান্সফিউশন ও প্লাজমা সেন্টার চালু করতে ইচ্ছুক। আশা করি আপনার কাছ থেকে যথাযথ সহায়তা এবং দ্রুত অনুমোদন পাবো।
আরও পড়ুন- করোনার আরটিপিসিআর টেস্ট চালু করলো গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র