X
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
১১ বৈশাখ ১৪৩২

রাশেদ চৌধুরীর প্রত্যাবাসন বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কোন্নয়নে গেম চেঞ্জার হবে

শেখ শাহরিয়ার জামান
২৩ আগস্ট ২০২০, ০৯:৩১আপডেট : ২৩ আগস্ট ২০২০, ১১:১৭

বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরী (ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত)

দশ বছর আগেও বাংলাদেশ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের যে আগ্রহ ছিল এখন সেটিতে দৃশ্যমান ভাটা পড়েছে। এ বিষয়ে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ফেলো মোহাম্মাদ শহীদুল হক বলেন, ‘এনগেঞ্জমেন্ট একটি চলমান প্রক্রিয়া। সেখানে কিছুটা ভাটা পড়েছে।’ একটা নয়, দুটি কারণে এমন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পরে পররাষ্ট্রনীতিতে যুক্তরাষ্ট্র বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে, যা বৈশ্বিক ব্যবস্থায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।’ সম্পর্কোন্নয়নে উভয়পক্ষেরই করণীয় আছে জানিয়ে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘সম্পর্ক উভয়পক্ষের মধ্যে আগ্রহের ভিত্তিতে হতে হবে।’ এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীর প্রত্যাবাসন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে একটি ইতিবাচক বড় ধরনের প্রভাব আনবে। 

শহীদুল হক বলেন, ‘রাশেদ চৌধুরীর প্রত্যাবাসন সম্পর্কোন্নয়নে একটি গেম চেঞ্জার হবে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে তাকে ফেরত চাইছি। মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল তার রাজনৈতিক আশ্রয় সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবেন বলে ইতোমধ্যে জানিয়েছেন।’

ভূ-রাজনীতিতে ভারসাম্য রক্ষা করা জরুরি জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে সবসময়ে মধ্যপন্থা অবলম্বন করে চলে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এ ধরনের বিবেচনা জরুরি। 

উভয়পক্ষ থেকে সফর কম হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মনোনয়ন দেয়নি ট্রাম্প প্রশাসন। 

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সিস্টেম অনুযায়ী দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বজায় রাখা ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 

তিনি বলেন, ‘কোনও একটি দেশ বা জোটের দিকে ঝুঁকে পড়ার কোনও অবকাশ নেই। সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলাই শ্রেয়।’

 ২০১০ ও ২০২০-এর রিপোর্ট 

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিস অব ইন্সপেক্টর জেনারেল ওই দেশের সব দূতাবাসের অবস্থা সরেজমিন পরিদর্শন করে একটি রিপোর্ট দেয়। বাংলাদেশে অবস্থিত দূতাবাসের ইন্সপেকশন রিপোর্ট ২০১০ এবং ১০ বছর পরে ২০২০ দু’টি স্পর্শকাতর রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। 

২০১০-এ রিপোর্টে বলা হয়, দূতাবাস নিজস্বভাবে তার কর্মপন্থা ঠিক করেছে, কিন্তু ২০২০-এ যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির উপাদানগুলো বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য। 

১০ বছর আগে দূতাবাসে ১০৫ জন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা কাজ করতো এবং ৪০০ স্থানীয় স্টাফ। ২০২০ সালে ১৩৯ জন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা ও ৫০০-এর বেশি স্থানীয় স্টাফ দূতাবাসে কাজ করছে। বর্তমানে দু’টি বিল্ডিং এ দূতাবাসের কর্মকাণ্ড হচ্ছে এবং আগামী কয়েক বছরের মধ্যে নতুন চ্যান্সারি ও বিল্ডিং করার পরিকল্পনা আছে যুক্তরাষ্ট্রের। 

২০২০-এর রিপোর্টে বলা হয় বর্তমান সময়ে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সেকশনের ৫০ শতাংশের ওপর কাজ রোহিঙ্গা সমস্যাকে ঘিরে। 

বাংলাদেশে অধিক পরিমাণে মার্কিন কোম্পানির উপস্থিতির কারণে দূতাবাস হিমশিম খাচ্ছে জানিয়ে ২০১০-এর রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু ২০২০ বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের মন্থরগতির প্রতি উল্লেখ করে এ বিষয়ে আরও জোর দেওয়ার প্রতি তাগিদ দেওয়া হয়।

২০০৮-এর জাতীয় নির্বাচনকে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হিসেবে ১০ বছর আগের রিপোর্টে অভিহিত করলেও ২০১৮-এর নির্বাচনে গুরুতর অনিয়ম হওয়ার অভিযোগ আছে বলে উল্লেখ করা হয় পরের রিপোর্টে। 

/এসএসজেড/এসটি/এমএমজে/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ঢাকায় হামজার অভিষেক, সিঙ্গাপুর ম্যাচ ঘিরে এখনই চাপে বাফুফে
ঢাকায় হামজার অভিষেক, সিঙ্গাপুর ম্যাচ ঘিরে এখনই চাপে বাফুফে
ইরানের পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে তেহরান-বেইজিং আলোচনা
ইরানের পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে তেহরান-বেইজিং আলোচনা
সাবেক প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা
সাবেক প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা
কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
সর্বাধিক পঠিত
জোর করে পদত্যাগ করানো প্রধান শিক্ষককে মারধর করে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া হলো
জোর করে পদত্যাগ করানো প্রধান শিক্ষককে মারধর করে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া হলো
প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে লাভ ১২ টাকা?
প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে লাভ ১২ টাকা?
পরিবারসহ বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক সাফিনুলের ৫৬ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
পরিবারসহ বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক সাফিনুলের ৫৬ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
ক্যামেরায় ধরা পড়লো শিবির নেতা হত্যা মামলার আসামিকে গুলি ও কোপানোর দৃশ্য
ক্যামেরায় ধরা পড়লো শিবির নেতা হত্যা মামলার আসামিকে গুলি ও কোপানোর দৃশ্য
বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন আসিফ মাহমুদ
বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন আসিফ মাহমুদ