চট্টগ্রামে বিভিন্ন জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রবিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর জিইসি মোড়ে দুর্বৃত্তরা মাহমুদা খানমকে হত্যা করে।
ছেলেকে স্কুলের বাসে তুলে দেওয়ার জন্য তিনি জিইসি মোড়ে দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে আসা তিন দুর্বৃত্ত তাকে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে পালিয়ে যায়।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আমিনুল হক সরকার জানান, সকাল পৌনে ৯টার দিকে তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার কপালে একটি গুলির চিহ্ন রয়েছে। গুলির ধরন দেখে মনে হচ্ছে এটি পেশাদার খুনীদের কাজ।
পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিশনের (পিবিআই) পরিদর্শক আবু জাফর মো. উমর ফারুক বলেন, নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। প্রতিবেদনে পেটে, পিঠে, হাতে, বুকে এলাপাতাড়ি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পিবিআই এর অ্যাডিশনাল এসপি বশির আহমেদ বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি বুলেটের খোসা ও তিনটি তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ডেপুটি কমিশনার মোক্তার হোসেন জানান, জঙ্গি দমনে বাবুল আক্তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। এ কারণে তার স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া বাবুল আক্তার বর্তমানে ঢাকা পুলিশ সদর দফতরে কাজ করছেন। পদোন্নতির আগে তিনি গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উত্তর-দক্ষিণ জোনের দায়িত্বে ছিলেন।
চট্টগ্রামে এক ফকির ও তার খাদেম হত্যা এবং বোমায় ব্যবসায়ী নিহত হওয়ার দুটি ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে জেএমবির একটি আস্তানার সন্ধান পান বাবুল আক্তার। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক এবং জেএমবি নেতা জাবেদসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। গত অক্টোবরে পুলিশের সঙ্গে এক অভিযানে থাকা অবস্থায় গ্রেনেড বিস্ফোরণে নিহত হন জাবেদ।
আরও পড়ুন:
‘এ হামলা জঙ্গি কর্মকাণ্ডে নতুন মাত্রা’
ঢাকা ওয়াসার এতো প্রকল্প, তবু সংকট বিশুদ্ধ পানির!
/বিটি/এসটি/এপিএইচ/