শিক্ষায় পিছিয়ে থাকার কারণে গৃহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি শিশুকে বাধ্যতামূলকভাবে স্কুলে পাঠাতে হবে।’
রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে গণস্বাক্ষরতা অভিযান আয়োজিত ‘গৃহকর্মীদের সুরক্ষা ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে নীতি সংলাপ’ অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে গৃহকর্মীদের অধিকার সুরক্ষিত হচ্ছে না। শিক্ষায় পিছিয়ে থাকার কারণে গৃহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হন।’
শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ‘বিবিএস জরিপ ২০২২ অনুযায়ী বাংলাদেশে গৃহকর্মীর সংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ নারী, যার ৮০ শতাংশই শিশু এবং তাদের কোনও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। তাই প্রতিটি শিশুকে বাধ্যতামূলকভাবে স্কুলে পাঠাতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাও দিতে হবে। কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ হয়ে গৃহকর্মীরা দেশে ও বিদেশে বেশি বেতনে চাকরি করতে পারবে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘গৃহশ্রমিক কল্যাণ নীতি ২০১৫ বাস্তবায়ন না হওয়ায় গৃহশ্রমিকেরা ন্যায্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। প্রান্তিক পর্যায় থেকে গৃহশ্রমিকদের কল্যাণ কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর পাশাপাশি নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলোকে কাজ করতে হবে।’
গৃহকর্মীদের সুরক্ষা ও জীবনমান উন্নয়নে নীতি সংলাপের আয়োজনে অক্সফাম ইন বাংলাদেশের উদ্যোগের প্রশংসা করেন উপদেষ্টা।
গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান ও নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শিরীন পারভিন হক, বিশ্বব্যাংকের পরামর্শক এবিএম খোরশেদ আলম, অক্সফাম ইন বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর মাহমুদা সুলতানা, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম, গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী আবুল হোসাইন এবং গণস্বাক্ষরতা অভিযানের উপপরিচালক তপন কুমার দাশ উপস্থিত ছিলেন।