প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ইউনেস্কোর মহাপরিচালক (২০২৫-২০২৯) পদপ্রার্থী গ্যাব্রিয়েলা রামোস পাতিনার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। রবিবার (২০ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত মেক্সিকোর অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত ফেডেরিকো সালাস উপস্থিত ছিলেন।
সৌজন্য সাক্ষাৎকালে গ্যাব্রিয়েলা রামোস পাতিনা শিক্ষা, সংস্কৃতি ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ দেখিয়েছে কীভাবে স্থিতিস্থাপকতা, নীতিগত প্রতিশ্রুতি এবং সমতার দিকে মনোনিবেশ করে অর্থবহ পরিবর্তন আনতে পারে এবং ইউনেস্কো এই দেশটিকে কেবল একটি সদস্য হিসেবে নয়, সত্যিকারের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অংশীদার হিসেবে দেখে।
তিনি এক ক্রান্তিকালে প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্বের কথাও স্বীকার করেন। তিনি বলেন, আপনার দায়িত্ব গ্রহণ শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, যারা স্বচ্ছ ও নীতিগত শাসন ব্যবস্থায় বিশ্বাস করেন, তাদের জন্যও বড় আশার সঞ্চার বয়ে আনবে।
প্রধান উপদেষ্টা গ্যাব্রিয়েলা রামোসের সফর এবং মহাপরিচালক পদে প্রার্থিতাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আমরা একটি কঠিন কিন্তু প্রয়োজনীয় রূপান্তরের মধ্যে রয়েছি। এখানে ঝুঁকি অনেক বেশি, কিন্তু আমরা জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার এবং তাদের সেবা করে— এমন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রফেসর ইউনূস বলেন, সাম্প্রতিক বিডা ইনভেস্টমেন্ট সামিট বিনিয়োগকারীদের আস্থায় পরিবর্তনের সূচনা করেছে।
তিনি বলেন, এটা শুধু সম্মেলন ছিল না, এটি একটি সংকেত ছিল যে বাংলাদেশ উন্মুক্ত, সংস্কার এবং দায়িত্বশীল প্রবৃদ্ধির বিষয়ে আন্তরিক।
উভয় পক্ষ বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরের কথা তুলে ধরে উল্লেখ করেন যে, এই মাইলফলক শিক্ষা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতার ক্ষেত্রে সহযোগিতার নতুন পথ উন্মুক্ত করেছে।
এ সময় এসডিজি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদও উপস্থিত ছিলেন।