বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশীর উদ্দিন বলেছেন, আমাদের মূল বিষয় হচ্ছে— মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা। আমরা ওটার ওপরেই কাজ করছি। বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে আরও ১০০টি পণ্যকে শুল্কমুক্ত তালিকায় যুক্ত করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর একটা ইতিবাচক প্রভাব আমাদের দেশের বাণিজ্যে পড়বে বলে জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, সবে মাত্র তো চিঠি পাঠানো হলো, আমরা এখনও কোনও রেসপন্স পাইনি। আমাদের মূল বিষয় হচ্ছে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো। আমরা ওটার ওপরেই কাজ করছি। বিভিন্ন ধরনের বিশ্লেষণ করছি যে, কী কী পণ্য দিয়ে আমরা বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে পারি। আসলে বিষয়টা অতি পরিবর্তনশীল একটা বিষয়।
১০০টি পণ্যে জিরো ট্যারিফ করা হবে, সেটা নিয়ে কোনও পজিটিভ ইমপ্যাক্ট পড়বে কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, অবশ্যই, আমরা আশা করছি— দেখেই তো এই পরিশ্রম করছি। আমরা নির্ণয় করার চেষ্টা করছি, কীভাবে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতিটাকে কমিয়ে আনা যায়।
বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান উপদেষ্টা গতকালই (সোমবার) ট্রাম্প প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছেন। আমরা রেসপন্স করেছি, আমরা পজিটিভ কিছু প্রত্যাশা করছি। আমরাও সহযোগিতা করবো, তারাও সহযোগিতা করবে। একটা উইন উইন অবস্থা।
তিনি বলেন, একদিকে ওনারা করে ফেললো, আমরা অ্যাডজাস্ট করবো, বিষয়টা সেটা না। আমরা আমাদের ইস্যুটা তুলে ধরবো। আমি বিশ্বাস করি— এই বিষয়টা সমাধান হবে। একটা পজিটিভ হবে, পজিটিভ বলতে তাদেরও লাভ হবে আমাদেরও লাভ হবে।
তিনি আরও বলেন, আজ আমরা মসুর ডাল, চাল, এলএনজি ও তেল আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। আজ যে ক্রয়ের অর্ডারগুলো দিয়েছি, সেগুলো আগের তুলনায় মূল্য কম। এটা কারণ হচ্ছে— আমরা একটু প্রতিযোগিতা করতে চাচ্ছি। আগে গুটিকয়েক সাপ্লায়ার দিতো, এখন ওপেন করাতে প্রতিযোগিতা বেড়েছে। ফলে আমরা কম দামে পাচ্ছি। আমাদের অনেক সাশ্রয় হচ্ছে।