প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সদস্য দেশগুলোর তরুণ ছেলে-মেয়েদের মধ্যে সম্পৃক্ততা বাড়াতে ‘ইয়ুথ ফেস্টিভ্যাল’ আয়োজনের উদ্যোগ নিতে বিমসটেক সচিবালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। প্রফেসর ইউনূস ব্যাংককে বিমসটেকের ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনের শেষে নতুন বিমসটেক চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই মহাসচিব ইন্দ্র মণি পান্ডেকে এই নির্দেশনা দেন। ভারতের সাবেক কূটনীতিক ইন্দ্র মণি সম্মেলন শেষে সংস্থার ভবিষ্যৎ কার্যক্রম নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
দুই বছর পর ঢাকায় বিমসটেকের পরবর্তী শীর্ষ সম্মেলনের সময় ইন্দ্র মণিকে একটি পৃথক যুব সমাবেশ নিশ্চিত করতে বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘বিমসটেক নেতারা যখন মিলিত হবেন, তখন তরুণদের জন্য আমাদের আলাদা বৈঠক করা উচিত। এটি সদস্য দেশগুলোর তরুণদের একত্রিত করবে। এছাড়াও, বিমসটেকের একটি যুব উৎসব করা উচিত যেখানে প্রতিটি দেশ তাদের ভূমিকা পালন করবে এবং একটি দেশ নেতৃত্ব দেবে। যুব উৎসব আবার তরুণ-তরুণীদের একত্রিত করবে।’
ইন্দ্র মণি এই ধারণাগুলোকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং সেগুলো নিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এগুলো চমৎকার আইডিয়া। আমরা আমাদের পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে এসব আইডিয়া নিয়ে কাজ করবো।’
প্রধান উপদেষ্টা বিমসটেক মহাসচিবের কাছ থেকে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আলোচনার অবস্থা সম্পর্কেও খোঁজখবর নেন।
বিমসটেক মহাসচিব প্রধান উপদেষ্টাকে জানান যে, তারা সদস্য দেশগুলোর বাণিজ্য ও বাণিজ্যমন্ত্রীদের নিয়ে একটি বৈঠক আয়োজনের জন্য কাজ করছেন, যা গত ২১ বছরেও অনুষ্ঠিত হয়নি।
প্রধান উপদেষ্টা বিমসটেক মহাসচিবকে আরও ভালো ফলাফলের জন্য পরিকল্পিত সভার বার্ষিক ক্যালেন্ডার প্রস্তুত করতে বলেন।
শুক্রবার ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সাতটি সদস্য দেশের নেতারা অংশ নেন। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পাইতংতার্ন সিনাওয়াত্রা সম্মেলন শেষে প্রফেসর ইউনূসের কাছে বিমসটেকের সভাপতিত্ব হস্তান্তর করেন।