মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, কারেন্ট জালসহ অন্যন্য অবৈধ জাল তৈরি হয়— এ ধরনের কারখানা বন্ধ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি জায়গায় জেলা প্রশাসকরা কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছেন, যা প্রশংসার যোগ্য।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষা, পতিত জলাশয়ে মাছ চাষ, হাওরাঞ্চলে মৎস্যসম্পদের জীব বৈচিত্র্য রক্ষা করাসহ অনেকগুলো অভয়াশ্রম তৈরিতে জেলা প্রশাসকদের কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা রোজার মাসে সাশ্রয়ী মূল্যে ডিম, দুধ, মাংস বিপণনে জেলা পর্যায়ে সহায়তা করতে এবং কোরবানির গরুর হাটে ভেটেরনারি টিমকে সহযোগিতা করতে তিনি আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ‘জেলেদের দাদন ব্যবসা থেকে বের হয়ে আসার লক্ষ্যে সরকার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন বাংক করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কৃষিতে কীটনাশক ব্যবহারের ফলে মাছের ক্ষতি এমনকি গরু-ছাগল কীটনাশক যুক্ত ঘাস খেয়ে মারা যাচ্ছে। বন্যায় দুর্যোগের সময় বেশিরভাগ মানুষের আশ্রয়ের কথা চিন্তা করলেও গবাদিপশুর কথা বিবেচনায় রাখা হয় না।’ এবিষয় বিবেচনা রাখতে জেলা প্রশাসকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. তোফাজ্জেল হোসেন, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. আবু সুফিয়ান, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. আবদুর রউফ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।