X
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
৭ বৈশাখ ১৪৩২

রূপপুর প্রকল্পকে ঘিরে মস্কো ও ঢাকার সম্পর্ক নষ্টের চেষ্টা হচ্ছে: রাশিয়ার বিবৃতি 

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:০৫আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:০৫

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ (আরএনপিপি) প্রকল্পে কোনও দুর্নীতি হয়নি বলে দাবি করেছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন রোসাটম। বুধবার (১১ সে‌প্টেম্বর) রোসাট‌মের বরাত দি‌য়ে ঢাকার রাশিয়ান দূতাবাসের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দা‌বি করা হ‌য়েছে।

এতে বলা হয়, যারা রূপপুর এনপিপিতে দুর্নীতি বিষয়ে ভুয়া খবর লিখে ছড়িয়ে দেয়, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পটিকে কলঙ্কিত করতে চায় এবং মস্কো ও ঢাকার মধ্যে স্থিতিশীল সম্পর্ককে নষ্ট করার চেষ্টা করছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমাদের নজরে এসেছে যে রূপপুর এনপিপি প্রকল্পে দুর্নীতি বিষয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা তথ্য বাংলাদেশের মিডিয়ায় প্রচারিত হচ্ছে। যদিও এই ভিত্তিহীন বিবৃতিগুলোকে খণ্ডন করার জন্য রোসাটম স্টেট করপোরেশন দুটি প্রেস রিলিজ দিয়েছে। এই বিষয়ে আরও অযৌক্তিক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাতে, রাশিয়ান রফতানি ক্রেডিট ব্যবহারের পদ্ধতি এবং রূপপুর এনপিপি নির্মাণে ইতোমধ্যে ব্যয় করা অর্থের পরিমাণ স্পষ্ট করা প্রয়োজন বলে মনে হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রূপপুর এনপিপি প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য রাশিয়ার দেওয়া ১ হাজার ১৯০ কোটি মার্কিন ডলার পরিমাণের রাষ্ট্রীয় রফতানি ঋণ (স্টেট এক্সপোর্ট ক্রেডিট) থেকে মোট ৭৮০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যবহৃত হয়েছে। দুটি পৃথক চুক্তির অধীনে এ দুটি ঋণ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ২০১৩ সালের ১৫ জানুয়ারি প্রথম চুক্তির অধীনে ব্যবহৃত ৪৯.১৩ কোটি মার্কিন ডলার (এই ঋণের মোট পরিমাণ ৫০ কোটি মার্কিন ডলার পর্যন্ত এবং এর ব্যবহারের মেয়াদ ২০১৭ সালে শেষ হয়ে গিয়েছে)। আর ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই দ্বিতীয় চুক্তির অধীনে ব্যবহৃত ৭৩৩ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন ডলার।

দ্বিতীয় রফতানি ঋণের পুরো পরিমাণ হলো ১ হাজার ১৩৮ কোটি মার্কিন ডলার, যা থেকে এখন পর্যন্ত ৬৪ শতাংশ ব্যবহৃত হয়েছে এবং এই ঋণের ব্যবহারের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরে।

রূপপুর এনপিপি প্রকল্পে যে কোনও দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে না তার প্রমাণ হলো– রাশিয়ান ফেডারেশনের আইন অনুযায়ী কোনও রাষ্ট্রীয় রফতানি ঋণ দেওয়ার  ক্ষেত্রে সার্বভৌম ঋণগ্রহীতার কাছে সরাসরি টাকা স্থানান্তর করা হয় না। রফতানি চুক্তির অধীনে বিদেশি গ্রাহককে প্রদত্ত যেকোনও পণ্য, কাজ বা পরিষেবাগুলোর অর্থায়ন রাশিয়ান রুবলে রাশিয়ান অর্থ মন্ত্রণালয় রাশিয়ান রফতানিকারক সংস্থাকে সরাসরি দেয়।

রাশিয়ান অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রদত্ত নথি অনুযায়ী এই লেনদেনগুলো করা হয় এবং পূর্বে আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোর ওপর বিশেষায়িত বৈধ এজেন্ট দ্বারা সেই নথিগুলি অনুমোদিত হয়। রাষ্ট্রীয় রফতানি ঋণের ব্যবহৃত পরিমাণ রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রতি বিদেশি রাষ্ট্র ঋণগ্রহীতার ঋণ হিসেবে বিবেচিত হয়, দাবি করা হয় বিবৃতিতে।

/এসও/এফএস/
সম্পর্কিত
ইস্টারের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন, পাল্টাপাল্টি দোষারোপ রাশিয়া ও ইউক্রেনের
ইউক্রেনে আগ্রাসন বন্ধে রাশিয়ার কাছে প্রমাণ চায় ইইউ
অস্ত্র রফতানিতে মার্কিন বিধি শিথিলের নিন্দা উ. কোরিয়ার
সর্বশেষ খবর
৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
কোহলির ম্যাচসেরা পারফরম্যান্সে পাঞ্জাবকে হারালো বেঙ্গালুরু
কোহলির ম্যাচসেরা পারফরম্যান্সে পাঞ্জাবকে হারালো বেঙ্গালুরু
গাজীপুরে তুসুকা গার্মেন্টসের শ্রমিকদের কর্মবিরতি ও বিক্ষোভের দ্বিতীয় দিন
গাজীপুরে তুসুকা গার্মেন্টসের শ্রমিকদের কর্মবিরতি ও বিক্ষোভের দ্বিতীয় দিন
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সেরা একাদশে দুই বাংলাদেশি
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সেরা একাদশে দুই বাংলাদেশি
সর্বাধিক পঠিত
আ.লীগের ঝটিকা মিছিল, বিপাকে পুলিশ
আ.লীগের ঝটিকা মিছিল, বিপাকে পুলিশ
যেসব পদক্ষেপে ঘুরে দাঁড়ালো রিজার্ভ
যেসব পদক্ষেপে ঘুরে দাঁড়ালো রিজার্ভ
ভবেশ চন্দ্রের মৃত্যু নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার সংবাদ বিব্রতকর: পুলিশ সুপার
ভবেশ চন্দ্রের মৃত্যু নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার সংবাদ বিব্রতকর: পুলিশ সুপার
বাংলাদেশ ভ্রমণে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা জারি
বাংলাদেশ ভ্রমণে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা জারি
প্রথম আলোর নিউজটি দিল্লি থেকে লিখে দেওয়া, বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
প্রথম আলোর নিউজটি দিল্লি থেকে লিখে দেওয়া, বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ