বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে তাদের নেতাকর্মী ও জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে সাপ্তাহিক গণবাংলা আয়োজিত ‘দেশ ও স্বাধীনতাবিরোধী সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের শপথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি প্রকৃত কোনও ছাত্র এই ধরনের হামলা-অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত ছিল না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে তাদের নেতাকর্মী ও জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রের ওপর এই হামলা চালিয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। যারা পিটিয়ে মানুষ হত্যা করেছে, মেট্রোরেল, বিটিভিতে আগুন দিয়েছে তাদের প্রত্যেকের বিচার হবে। আমরা এটি করতে বদ্ধপরিকর। ২০১৩-১৪ সালে বিচার হয়েছিল, অনেকেই ফাঁকফোকর গলে বের হয়ে গেছে। এবার যাতে কেউ আইনের ফাঁকফোকর গলে বের হতে না পারে সেই ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, আজকে রাষ্ট্র আক্রান্ত। রাষ্ট্রের ওপর এই হামলা তারেক রহমানের নির্দেশে হয়েছে। গতকাল তিনি টেলিভিশনে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন ছাত্রলীগ মারলে পাঁচ হাজার টাকা, পুলিশ মারলে দশ হাজার টাকা। আমির খসরু মাহমুদ নির্দেশ দিয়েছেন তাদের তরুণ নেতাকর্মীদের আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য। এসব অডিও ক্লিপ সরকারের হাতে রয়েছে। এটি কি কোনও রাজনৈতিক দল? এটি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন।
কোটা সরকার পুনর্বহাল করেনি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা শুরু থেকে বলে আসছিলাম সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান হবে এবং সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হয়েছে। তাহলে এই আন্দোলনের ডাক দিয়ে বিএনপি-জামায়াত, অগ্নিসন্ত্রাসী, দেশবিরোধী অপশক্তি, জঙ্গিগোষ্ঠীকে কারা সুযোগ করে দিয়েছে সেই প্রশ্ন আজকে দেখা দিয়েছে। যদি একটু ধৈর্য ধরা হতো তাহলে বিএনপি-জামায়াত, জঙ্গিগোষ্ঠী দেশবিরোধী অপশক্তি এই সুযোগ পেতো না। এটি সবাইকে বুঝতে হবে এবং ছাত্রনেতাদেরও এটি অনুধাবন করতে হবে। ছাত্রনেতাদের খোঁজ নেওয়া দরকার তাদের মধ্যে এই দেশবিরোধী অপশক্তি বা জঙ্গিগোষ্ঠীর কোনও এজেন্ট ঢুকেছে কিনা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মী এই নির্মমতার শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। অনেক সাধারণ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। কয়েকজন শিক্ষার্থীও যে ঘটনার শিকার হয়নি তা নয়। সমস্ত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে এবং বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি ঘটনা তদন্ত করে দায়ীদের বিচার আওতায় আনা হবে- এই প্রতিশ্রুতি শেখ হাসিনা দেশের জনগণকে দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।