ঠিকাদাররা প্রাক্কলিত মূল্যের চেয়েও ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কম ধরে দরপত্র দাখিল করে নিম্নমানের কাগজে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ করে চলেছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সমস্যা সমাধানে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও বিতরণ কার্যক্রমকে পণ্য হিসেবে বিবেচনা না করে কার্য হিসেবে বিবেচনা করার বিষয়ে মতামত চেয়ে সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটকে (সিপিটিইউ) চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাদের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী কার্যক্রম নেবে মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কমিটির গত বৈঠকে সুপারিশের ভিত্তিতে বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন বৃহস্পতিবারের বৈঠকে উপস্থাপন করে মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, মাধ্যমিক স্তরে নিম্নমানের পাঠ্যপুস্তক সরবরাহের জন্য পরিদর্শকের প্রতিবেদন অনুযায়ী দায়ী প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে অভিযুক্ত দরপত্রে অংশগ্রহণে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। কাগজের মান ঠিক আছে কিনা তা বিএসটিআই/বিসিএসআইআর/বিসিআইসি ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পুনঃ যাচাই করা হচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ অ্যান্ড গ্লোবাল স্টাডিজ’ বই আবশ্যিক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে ঢাকার ব্রিটিশ কাউন্সিলকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে পাঠ্যপুস্তক ছাপার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুণগত মান বজায় রাখতে সুপারিশ করা হয়। কমিটি মাধ্যমিক স্তরের বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম মনিটরিং জোরদার করতে সুপারিশ করে। এছাড়া কওমি মাদ্রাসাগুলোকে মূলধারার শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে তাগিদ দেয়।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার আওতায় আনতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) বিল, ২০২৪’ যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত বিলটি পাশের জন্য সুপারিশ করে কমিটি।
কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি’র সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও অংশ নেন কমিটির সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার, মোতাহার হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন, আবদুল মজিদ, আহমদ হোসেন, বিপ্লব হাসান, আব্দুল মালেক সরকার এবং আজিজুল ইসলাম।