বাংলাদেশ রেলওয়েতে সিগন্যাল সিস্টেমের ত্রুটির কারণে এখন পর্যন্ত কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে ঢাকা-১১ আসনে সরকার দলীয় এমপি এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
জিল্লুল হাকিম বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের সমগ্র রেলপথকে ডাবল লাইনে রূপান্তর, দেশের সব জেলায় রেলপথের সংযোগ স্থাপন, ধারাবাহিকভাবে সব রেলপথের সিগন্যালিং ব্যবস্থার আধুনিকায়ন এবং উন্নত মানের ইঞ্জিন ও কোচ সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়েতে দুর্ঘটনা পরিহারে যে কোনও জরুরি অবস্থায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রেন থামানোর লক্ষ্যে অটোমেটিক ট্রেন স্টপ/প্রটোকেশন (এটিএস/এটিপি) প্রযুক্তি বাস্তবায়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সরকারদলীয় এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুলের প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, দেশে ৩ হাজার ৯৩ দশমিক ৩৮ কিলোমিটার রেললাইনের মধ্যে ১ হাজার ৬৭৯ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার মিটারগেজ ও ব্রডগেজ ৮৭৯ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ এবং ৫৩৩ দশমিক ৭০ ডুয়েলগজ রেললাইন আছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মাস্টারপ্ল্যান যা ২০১৬ সাল থেকে ২০৪৫ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, সেই মাস্টারপ্ল্যান অনুসারে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্ক সংযুক্ত হওয়ার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে রেললাইন একই গেজে (ইউনিগেজ) রূপান্তরের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এ কার্যক্রমের আওতায় প্রাথমিক পর্যায়ে সব মিটারগেজ লাইনকে ডুয়েলগেজ লাইনে রূপান্তর করা হবে এবং পরবর্তীতে ব্রডগেজে রূপান্তর করা হবে। মাস্টারপ্ল্যানে এ বিষয়ে ১৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যা ২০৪৫ সালের মধ্যে পর্যাপ্ত অর্থায়ন প্রাপ্তি সাপেক্ষে সম্পন্ন করা বলে আশা করা যায়।