কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘এ বছর আউশের আবাদ বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের বীজ, সার, সেচসহ বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়েছে সরকার। সারের দাম কমানো হয়েছে। ফলে এ বছর অনেক উৎসাহ ও আগ্রহ নিয়ে কৃষকেরা আউশ চাষ করেছেন। সারাদেশে আউশের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে।’
শনিবার (২২ আগস্ট) মেহেরপুর জেলা প্রশাসন এবং কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ আয়োজিত মেহেরপুর জেলা সদর উপজেলার কালাচাঁদপুর গ্রামে আউশ ধান কর্তন উদ্বোধনে অনলাইনে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘কৃষি বিজ্ঞানীরা অনেকগুলো উচ্চফলনশীল জাতের উদ্ভাবন করেছেন, যেগুলো চাষের ফলে গড় ফলনও বেড়েছে। এখন প্রতি বিঘা জমিতে ১৮-১৯ মণ ধান হচ্ছে, যেটি অত্যন্ত গর্বের ও অহংকারের। অথচ একসময় আউশ উৎপাদন সবচেয়ে কম হতো। বিঘাতে মাত্র ২-৩ মণের মতো।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষিপণ্যের বাজারজাতে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। ইউরোপ-আমেরিকায় শাকসবজির অনেক দাম। এ দেশের কৃষিপণ্যকে ইউরোপ-আমেরিকাসহ উন্নত দেশের বাজারে রফতানি করতে পারলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। সে জন্য পূর্বাচলে একটি অ্যাগ্রো প্রসেসিং সেন্টার করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যাতে করে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, এ দেশ থেকে কৃষিপণ্য রফতানি করা যায়।’
সভায় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘মেহেরপুর কৃষিতে অত্যন্ত সমৃদ্ধ অঞ্চল। দেশের কৃষিতে ভবিষ্যতে এ অঞ্চলের ব্যাপক অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে। তাই এ অঞ্চলের কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে দেশের কৃষিখাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকার এ অঞ্চলের কৃষির উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে সেচের সুবিধার জন্য কিছু নদী খনন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও নদী ও খাল খনন করা হবে।’ প্রতিমন্ত্রী এ সময় এ অঞ্চলের বিভিন্ন সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে কৃষিকে আরও এগিয়ে নিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের উপরও গুরুত্বারোপ করেন।
এতে প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান। সভায় সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আবদুল মুঈদ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. শাহজাহান কবীর, মেহেরপুরের পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী প্রমুখ এ সময় বক্তৃতা করেন।